বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Hair fall: চুল পড়া আদৌ খারাপ না ভালো? বেশিরভাগ মানুষের ভুল ধারণা আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

Hair fall: চুল পড়া আদৌ খারাপ না ভালো? বেশিরভাগ মানুষের ভুল ধারণা আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

চুল পড়া আদৌ খারাপ না ভালো? (Freepik)

Hair fall myths and types: চুল পড়া আদৌ খারাপ না ভালো? শ্যাম্পু কি আদৌ চুল পড়ে যাওয়া আটকাতে পারে? এমনই নানা ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নানা ঘরোয়া টোটকা ও ওষুধের সাহায্য নেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও অনেকেরই কোনও লাভ হয় না। এই নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে ঝরে যায় আরও কিছু চুল। কিন্তু আদৌ কি চুল পড়া খারাপ? না তা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে জরুরি? এমনই নানা ভুল ধারণা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করলেন সিএমআরআই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সঞ্জয় আগরওয়াল।

(আরও পড়ুন: বর্ষায় এমনিতেই টমেটো এড়িয়ে যাওয়া উচিত বলছে আয়ুর্বেদ)

প্রথমেই চুল পড়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘চুল একেবারেই না পড়া একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার। বরং চুলের স্বাভাবিক ধর্ম হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ঝরে যাওয়া। তবে এর একটি সীমাও রয়েছে। রোজ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার।’ চিকিৎসকের কথায়, ‘ ছয় থেকে আট সপ্তাহ রোজ ৫০টি চুল পড়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এর বেশি চুল পড়লে বা বেশি সময় ধরে চুল পড়লে তখন তা অস্বাভাবিক।’

(আরও পড়ুন: ৫৫ ফুটের নেতাজি এঁকে ইন্ডিয়ান রেকর্ডসে নাম! কতটা কঠিন ছিল? জানালেন শিল্পী তারক)

<p>হেয়ার ফলিকলে কোনও প্রভাব ফেলে না শ্যাম্পু</p>

হেয়ার ফলিকলে কোনও প্রভাব ফেলে না শ্যাম্পু

(Freepik)

এই প্রসঙ্গে, তিনি আরও বেশ কয়েকটি ভুল ধারণার কথাও টেনে আনেন। অনেকেই মনে করেন, চুল পড়া আটকাতে বাজারের বেশ কিছু শ্যাম্পু বেশ ভালো কাজ দেয়। ‘কিন্তু আদতে শ্যাম্পুর এখানে কোনও ভূমিকা নেই। শ্যাম্পুর কাজ মাথার ময়লা ধুয়ে সাফ করা। এর পাশাপাশি খুশকি হলে তা ধুয়ে ফেলা। কিন্তু হেয়ার ফলিকলে কোনও প্রভাব ফেলে না শ্যাম্পু।’ একইভাবে স্নানের জল নিয়েও ভুল ধারণা রয়েছে অনেকের। জলে আয়রন বেশি থাকলে চুল নষ্ট হয়ে যায় বলে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সঞ্জয় আগরওয়ালের কথায়, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অনেকে এই কারণে আবার জল পরিশ্রুত করে মাথায় দেন। বা স্নানের আগে জল ফুটিয়ে নেন। যার আদতে অর্থহীন।’

চুল পড়া নিয়ে বেশ কয়েকটি ভুল ধারণার পাশাপাশি এর বিভিন্ন ধরন নিয়েও আলোচনা করেন চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘যে কোনও ভাইরাল জ্বর বা বড়সড় অসুখ হলেই তার তিন মাস পর চুল পড়ার হার বাড়তে থাকে। একে টেলোজেন হেয়ার ফল বলে। কোভিডের সময় এমন অনেক রোগী আমরা দেখেছি। আরেকরকম চুল পড়া হল মেল প্যাটার্ন হেয়ার ফল। এটি কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এর পিছনে অনেকসময় জিনের ভূমিকাও থাকে। অর্থাৎ, বাড়ির আর কারও এই সমস্যা আছে কিনা।’ তবে এর বাইরে কিছু কারণে চুল পড়তে পারে। তার মধ্যে বড়সড় কারণ হল মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও অবসাদ। এই সময় স্ট্রেসের কারণে চুল পড়ার হার অনেকটাই বেড়ে যায়। সে কথাও এই দিন উঠে আসে সঞ্জয় আগরওয়ালের কথায়।

বন্ধ করুন