মাত্র ৬৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে WWE স্টার স্কট হল, যিনি বিখ্যাত রেজর ব়্যামন হিসাবে। তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যের কারণ হিসাবে নানান ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। জানা গিয়েছে, শরীরে কিছু রক্ত জমাট বাঁধার ফলে এমন হৃদরোগের শিকার হয়েছেন ডাব্লিউ ডাব্লিউ ই স্টার স্কট হল। জানা যায় সদ্য তিনি নিতম্বের সার্জারি করিয়েছিলেন। আর তারপরই এই রক্তজমাট বাঁধার ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও বড় সার্জারির পর মানুষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। বিশেষত যাঁদের হৃদযন্ত্রে আগে থেকেই সমস্যা থেকে গিয়েছে, তাঁদের সমস্যা ঘনীভূত হয়। বহু গবেষণা বলছে, নিতম্বের সার্জারি থেকে শুরু হতে পারে হৃদরোগের সঞ্চার। চিকিৎসক অতুল মাথুর বলছেন, 'জেনারেল অ্যানাস্থেশিয়ার আওতায় কোনও বড় সার্জিক্যাল প্রসিডিওর সম্পন্ন হওয়ার পর অ্যাডরেনারজিক সিস্টেম উস্কানি পায়, যা চাপ দেয় কার্ডিওভ্যাসকুলার সিস্টেমে।' এতে রক্ত চাপ যেমন বাড়ে, তেমনই রক্তজমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানা যায়। যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা ইতিমধ্যেই রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। চিকিৎসক অঙ্কুর ফাতারপেকার বলছেন, 'অস্ত্রোপচারের সময়, রোগীরা অত্যন্ত চাপের মধ্যে থাকেন। যাইহোক, যখন আপনি ঘোরাফেরা করবেন না তখন নীচের অঙ্গগুলির শিরাগুলিতে জমাট বাঁধে।' তিনি বলছেন, এই পরিস্থিতিতে পালমোনারি এমবোলিজমের সমস্যা দেখা যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে হৃদরোগ ঘিরে সতর্ক হতে হবে। এই ধরনের উপসর্গ থাকলে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩০ শতাংশের মধ্যে থাকে। অনেক সময় ওঠা বসা ও ব্লাড থিনারে এই সমস্যা কেটে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, ৪০ বছরের উর্ধ্বে কোনও রোগী যদি সার্জারির দিকে যান, তাহলে তাঁর হার্ট কন্ডিশন মেপে দেখা হয়। সম্পন্ন হয় টেস্ট। বাকি ক্ষেত্রে সাধারণ ইকো কার্ডিওগ্রাম করা হয়ে থাকে।