বাড়তে থাকা ওজন ও পেটে জমা মেদ সকলকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। ফলে ওজন কম করার জন্য তৎপর থাকেন সকলে। এর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট প্ল্যান মেনে চলা থেকে শুরু করে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়। ওজন কম করার জন্য সাধারণত ঘরোয়া উপায়ের ওপরই বেশি জোর দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরেই রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় দারচিনি। শুধু খাবার দাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, বরং স্বাস্থ্যের পক্ষেও এই মশলাটি উপযোগী। এমনকি ওজন কমাতে দারচিনি ব্যবহৃত হয়। এর ফলে পেটে জমে থাকা মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বেলি ফ্যাট কম করার জন্য কী ভাবে দারচিনি ব্যবহার করবেন—
জলের মধ্যে লেবু, মধু ও দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তার পর ছেকে এই জল পান করতে হবে। এর ফলে পেটের জমে থাকা মেদ তো কম হবেই, পাশাপাশি ইনফেকশান-সহ অন্যান্য সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই পানীয়।
দারচিনির উপকারিতা
১. বয়সজনিত কারণে গাঁটের ব্যথা দেখা দিলে ঈষদুষ্ণ জলে মধু ও দারচিনির পাওডার মিশিয়ে, তার পেস্ট বানিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান। এর ফলে কিছু দিনে স্বস্তি পাবেন।
২. ডায়বিটিস রোগীরা নিজের খাদ্য তালিকায় দারচিনি অন্তর্ভূক্ত করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে পারবেন। এক-দুই চিমটে দারচিনি পাওডার নিয়মিত খেলে মধুমেহ রোগীরা উপকার পেতে পারেন।
৩. সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করলেও, দারচিনির সাহায্য নিতে পারেন। সকাল ও সন্ধে দুধের মধ্যে ২ গ্রাম দারচিনি পাওডার মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত হবে।
৪. ডায়বিটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরল কমাতেও দারচিনি সাহায্য করে। এর ফলে হৃদয় সুস্থ থাকে। এনসিবিআইয়ের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এক, তিন বা ছয় গ্রাম দারচিনি খেলে এলডিএল (বাজে কোলেস্টেরল), ট্রাইগ্লিসারাইড (রক্তে উপস্থিত এক ধরণের ফ্যাট) ও মোট কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে।
৫. হজম সমস্যা দূর করতে দারচিনি সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ল গুণ বর্তমান। পাচন তন্ত্র ও পেটে সংক্রমণের কারণে যে ব্যক্টিরিয়া উৎপন্ন হয়, তার সঙ্গে এই অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ল লড়তে পারে।