আমরা যা কিছুই খাই, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের হৃদযন্ত্রের ওপর। যে কোনও ব্যক্তির জীবনকাল ছোট করে দিতে পারে হৃদরোগ। হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য এবং নানান রোগ সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের উদ্দেশে আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে পালিত হয়। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নিন এখানে—
বিনস- প্রতিদিন আধকাপ বিনস খাওয়া উচিত। এতে উপস্থিত ফলেট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার এতে উপস্থিত ফাইবার কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করে।
সালমন- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর স্যালমন হার্ট রিদম ডিসঅর্ডার এবং নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকিকে কম করে।
অলিভ অয়েল- এই তেলও হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য অধিক কার্যকরী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের কোষ রক্ষা করে। এটি কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে।
আখরোট- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট হৃদযন্ত্রকে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে।
আমন্ড- এতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ফাইবার ও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। হৃদয় সুস্থ আকৃতি ধরে রাখার জন্য এই উপাদানগুলি অত্যন্ত জরুরি। আমন্ড শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে।
সোয়া- সোয়া প্রোটিন কোলেস্টেরলের স্তর কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এক কাপ সোয়ায় ৮ গ্রাম হেল্দি ফাইবার থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা জিমে যান, তাঁরা সোয়া সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকদের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।
কমলালেবু- কমলালেবুতে উপস্থিত ফাইবার কোলেস্টেরল মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দু কাপ কমলালেবুর রস রক্তবাহিকার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি পুরুষদের মধ্যে রক্তচাপের সমস্যাকেও কম করে।
বেরি- অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ বেরি হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে।