খবরের শিরোনামটি পড়ে এখনও মুখ ভেঁটকে আছেন কি? তাহলে আপনাকে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে গোটা বিষটয়টি বিস্তারিতভাবে জানানো যাক!দিনে দিনে দেশে বাড়ছে বিভিন্ন জিনিসের দাম। এদিকে, বেড়ে যাচ্ছে পরিবেশে দূষণের মাত্রাও। পরিবেশ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় সকলেই পথ খুঁজছেন কীভাবে সুন্দর পরিবেশে, পকেটের খরচা কমিয়ে জীবনযাপন করা যায়। যদি বলি, সুন্দর পরিবেশ ও কম খরচায় জীবনের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর উপায় একইসঙ্গে পাওয়া যেতে পারে! তাহলে কি বিশ্বাস করবেন? বিশ্বাস না হলে শুনে নিন কেনিয়ার উত্তর পশ্চিমের নাকুরু এলাকার ঘটনা।
খাবার তৈরির জন্য উপকরণের পরই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বস্তু হল জ্বালানি। আর এই জ্বালানির কাজেই কেনিয়ার নাকুরুতে ব্যবহার করা হয় মানুষের মল। সেখানে ৫ লাখ মানুষের বাড়িতে শুধু রয়েছে শৌচালয়, যা একটি নালা দিয়ে সংযুক্ত। বাকি দরিদ্র এলাকায় রয়েছে সেপটিক ট্যাঙ্ক, সেখানেই মানুষ মলমূত্র ত্যাগ করেন। যা রাতে পরিষ্কার করে নিতে হয়। গত তিন বছর ধরে এই শৌচ ব্যবস্থায় দ্বারা সংগৃহিত মানুষের মল দিয়ে সেদেশে তৈরি হচ্ছে জ্বালানির সামগ্রী। রান্নার আগে সেই জ্বালানির 'বল' বা মানুষের মল দিয়ে তারি 'ঘুঁটে' জ্বালিয়ে সেখানে খাবার তৈরির পরম্পরা চলে আসছে। আরও পড়ুন-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে রান্নায় ব্যবহার করুন শুধু এই তেলগুলি! কিছু জরুরি টিপস

মূলত মানুষের মলকে শুকিয়ে নিয়ে তাকে পুড়িয়ে কার্বনে রূপান্তরিত করে জ্বালানির বিশেষ 'বল' তৈরি হচ্ছে। এই মল-'বল' মুশকিল আসান করেছে সেখানের মানুষের। সেভাবে পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্যের উপর জ্বালানির জন্য নির্ভরত করতে হচ্ছে না এরফলে। একইসঙ্গে দিনে দিনে জ্বালানির জন্য গাছ কেটে কাঠ আনতে হচ্ছে না। যাঁরা ব্যবহার করছেন তাঁরা বলছেন, মানুষের মল ব্যবহার করে রান্না ভাল হচ্ছে, রান্নায় আসছে না কোনও বাজে গন্ধ। আর রান্নাও হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি। আগুন জ্বলছেও অনেকক্ষণ। নাকুরুর ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটাইজেশন সার্ভিস এই গোটা প্রক্রিয়ার দায়িত্বের রয়েছে। এই জ্বালানি অনেকবেশি পরিবেশ বান্দব হওয়ায় সুস্থ পরিবেশে বাঁচার সুখও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটাইজেশন সার্ভিসেসের মুখপাত্র। এই প্রক্রিয়াতে প্রচুর যুবকের কর্মসংস্থানও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।