অনেকেই বলে থাকেন, নারীদের মন বোঝা একটু জটিল ব্যাপার। পুরুষদের পক্ষে মহিলাদের মন বোঝাটা একটু জটিল বিষয়। প্রিয়তমা যে কখন, ঠিক কী কারণে রেগে গিয়েছেন, সেটাই বুঝতে পারেন না অনেক পুরুষ। অনেকে তো স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড যে রেগে আছেন, সেটাই বুঝতে পারেন না।
তবে চিন্তা করবেন না। মেয়েদের মন বোঝা যতটা জটিল বলে দাবি করা হয়, ততটাই সরল হয় তাঁদের মন। আসলে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থেকেই মেয়েরা একটু গোছানো হন। পরিকল্পনামাফিক চলেন। তাছাড়া সামাজিক বিভিন্ন রীতিও তাঁদের ছোটোবেলা থেকে অভ্যেস করানো হয়।
সেদিক দিয়ে পুরুষরা একটু অন্যভাবে বড় হন। তাছাড়া তাঁদেরও স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলি কিছুটা আলাদা। সময়ের সঙ্গে সকলের এই 'জেন্ডার নর্মস' গুলি ভাঙছে বটে। নারী-পুরুষের মধ্যেকার এই রেখা আবছা হচ্ছে। তবে প্রেয়সীর রাগের উত্স বুঝতে গিয়ে, এখনও অনেকেই নাকানিচোবানি খান। International Women's Day-তে তাই রইল টিপস। পুরুষদের জন্য।
এই ৫টি জিনিস ভুলেও করবেন না :
রান্না করা মহিলাদের কাজ ভাবা
আপনি কি ভাবেন রান্নাবান্না শুধুমাত্র মহিলাদেরই কাজ? এমনটা ভাবা কিন্তু খুব অন্যায়। সংসারের অন্যান্য কাজের মতো রান্নাবান্নার দায়িত্বটাও ভাগ করে নিন। আর কাজের সূত্রে দূরে থাকা ও ইউটিউবের দৌলতে এখন অনেক পুরুষই রান্না জানেন। রান্নাঘরে একসঙ্গেই রান্না করুন। প্রেম আরও জমবে।
ফোন না ধরা
এটা শুধু মহিলাদের ফোনের ক্ষেত্রেই নয়। যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অনেক সময়ে ব্যস্ততার সময়ে ফোন ধরা সম্ভব হয় না। গাড়ি বা বাইক রাইডের সময়েও ফোন না ধরাই ভাল। এমন ক্ষেত্রে পারলে একটু সময় বের করে জানিয়ে দিন যে আপনি ব্যস্ত আছেন। ফোন কাটার বদলে ডিফল্ট রিপ্লাইয়ের যে মেসেজগুলি থাকে, সেটা ব্যবহার করুন।
পরিচ্ছন্ন না থাকা
অনেকের মধ্যেই একটা আদিম পুরুষালি ব্যাপার থাকে। চুল-দাড়ি ট্রিম করেন না। একই জামা দিনের পর দিন পরেন। কেউ কেউ তো আবার স্নানও করেন না দিনের পর দিন। মহিলারা কিন্তু এটা একেবারেই পছন্দ করেন না। তাই পার্সোনাল হাইজিন ও গ্রুমিংয়ে একটু নজর দিন।
পার্টনারকে না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া
অফিসের বন্ধুদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেয়ে বাড়ি ফিরবেন? একটা কল করে দিন। আপনার জন্য যিনি বাড়িতে রান্না করে না খেয়ে বসে আছেন, তাঁকে একবার জানিয়ে দিন।
এটা তো একটা উদাহরণ মাত্র। যে কোনও ছোট-বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার তাঁকে জানান। তিনি যে আপনার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তা বোঝাতে ভুলবেন না।
তারিখ ভুলে যাওয়া
অ্যানিভার্সারি চলে যাওয়ার পর তা মনে পড়ে? এমনটা করলে আপনাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। সত্যি বলতে এই বিশেষ দিনগুলি, এমনকী প্রিয়তমার জন্মদিনটিও ভুলে যান কেউ কেউ। এমনটা করলে চলবে?
সমগ্র পুরুষজাতির স্বার্থে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি তারিখ :
১. ম্যাডামের জন্মদিন।
২. প্রথম দেখা।
৩. বিয়ের তারিখ।
এগুলি দিয়ে শুরু করুন। এগুলি মনে থাকলে, তারপর ম্যাডামের প্রিয়জনদের জন্মদিন, পোষ্যের জন্মদিন ইত্যাদি লেভেলে ওঠার চেষ্টা করুন।
টিপস : বছরের শুরুতেই গুগল ক্যালেন্ডারে বিশেষ দিনটি ও তার আগের দিন ইভেন্ট সেট করে রাখুন। পারলে কী করবেন সেই প্ল্যানটিও লিখে রেখে দিন।