একই ঘরে বসে থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা প্রায়ই মশার কামড় খাওয়ার অভিযোগ করে যান। এদিকে অপর মানুষটি টেরই পেলেন নাস কখন তাঁদের মশা কামড়ালো, বা আদৌ কামড়ালো কী না। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের রক্ত মশার অধিক পছন্দের। খুঁজে খুঁজে তাঁদেরই আক্রমণ করেন মশা বাবাজীবন। ভিড়ের মধ্যে থেকে এই বিশেষ একজনকে খুঁজে পেতে মশাদের বেগ পেতে হয় না। কাদের এবং কোন অবস্থায় কোনও ব্যক্তিকে বেশি মশা কামড়ায়, তা জেনে নেওয়া যাক--
১. গর্ভবতী স্ত্রীদের বশি মশা কামড়ায়। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের দ্বারা মশারা সহজে আকৃষ্ট হয়। উল্লেখ্য, অন্য মহিলাদের তুলনায় গর্ভবতী মহিলারা ২১ শতাংশ বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়েন। আবার গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস অধিক পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করেন তাঁরা। ফলে মশারা তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
২. যাঁরা অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের বেশি মশা কামড়ায়। লক্ষ্য করবেন, কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর মশারা ছেঁকে ধরছে। শুধু দৌড় নয়, যে কোনও ধরনের কায়িক পরিশ্রমের পরই এমন হয়। এর জন্য দায়ী আমাদের শরীরের ল্যাকটিক অ্যাসিড। শারীরিক পরিশ্রমের পর মাংসপেশী থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড নির্গত হয়। এই ল্যাকটিক অ্যাসিডের গন্ধ মশাদের আকর্ষণ করে।
৩. ‘ও’ গ্রুপের রক্তের স্বাদে মশগুল থাকে মশারা। ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত হলে তো কথাই নেই। গবেষণায় জানা গিয়েছে, অন্য গ্রুপের রক্তের তুলনায় ‘ও’ গ্রুপের রক্ত থাকলে সেই ব্যক্তি অন্যান্যদের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি মশার কামড় খায়। আসলে ‘ও’ পজিটিভ এবং ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের একটি বিশেষ গন্ধ রয়েছে। সেই গন্ধ শুকেই ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের ব্যক্তিদের আক্রমণ করে মশারা।
৪. মশাদের ঘ্রাণ শক্তিও প্রখর। যে ব্যক্তির শরীরে কায়রামোনস রাসায়নিক বেশি থাকে, তাঁদের রক্ত মশারা বেশি পছন্দ করে। আবার অ্যালামোনস রাসায়নিক থাকলে সেই ব্যক্তির রক্তের প্রতি মশা প্রজাতির বিশেষ লোভ নেই।
৫. আবার পোশাকের রঙও মশাদের আকৃষ্ট করতে পারে। গাঢ় রঙের পোশাক, কালো, লাল, নীল রঙ মশাদের বিশেষ পছন্দের। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে হলে হাল্কা রঙের জামাকাপড় পড়া উচিত।