সোমবার ছিল এক ঐতিহাসিক দিন। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর সকলের জন্য খুলে গেল বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ। ধারে, ভারে ও গুরুত্বে এর জুটি মেলা ভার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করে জানান যে দেশি-বিদেশি উদ্যোগপতি, ব্যবসায়ী, যে কোনও ধরনের গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এই বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ বিশ্বমানের পরিকাঠামো নিয়ে যোগ্য সঙ্গত করবে।
পূর্বে এই প্রাঙ্গণের নাম ছিল মিলন মেলা প্রাঙ্গণ। এখানে বইমেলা থেকে আরম্ভ করে প্রভূত অনুষ্ঠান হয়েছে এর আগে। পুরোদস্তুর কর্মকাণ্ডের পর এই প্রাঙ্গণে রয়েছে দু’টি প্রকাণ্ড প্যাভিলিয়ন, এক একটি ১ লক্ষ স্কোয়ার ফিটের। এখানে এক এক দিনে ৩ লক্ষ মানুষ এলেও কোনও অসুবিধা নেই। ১০০০ এর বেশি প্রদর্শক এলেও কোনও অসুবিধা নেই।
আউটডোর এবং ইনডোর প্রদর্শনীর সুবিধা রয়েছে এখানে। ব্যবসা এবং নেটওয়ার্ক করার সব রকম সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে গাড়ি পার্ক করার পরিকাঠামো রয়েছে, যেখানে অনায়াসে ১২০০ গাড়ি রাখা যেতে পারে। বিশ্ব বাংলা সেন্টারের সুদৃশ্য টাওয়ারের সঙ্গে প্রেস মিডিয়া রুম, রপ্তানির আলাদা জায়গা এবং ৪০ হাজার স্কোয়ার ফিটের ফুড কোর্ট ও ফুড প্লাজা রয়েছে।
এখানে বিশ্বমানের থ্রি ডি ফ্যাসাড প্রজেকশন শোয়ের সঙ্গে হারমোনিক ফাউন্টেন শো, গ্রিন পকেট পার্ক রয়েছে এখানে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং তার সঙ্গে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা— সব দিক থেকেই কলকাতা উপহার পেল এই বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ।
বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের থেকেও এটি অনেক বড়। সামনের দিনে অনেক ঘটনাবহুল মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে এই বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ!