রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিন বলছে, তামিলনাড়ুর প্রায় দেড় লাখ মানুষ এই রোগের চিকিৎসাধীন থেকেছেন এখনও পর্যন্ত। জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী এই সমস্যায় ভুগে আসছেন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে। রোজই প্রায় ভরে থাকছে চেন্নাইয়ের সরকারি হাসপাতাল।
1/6তামিলনাড়ু জুড়ে বেড়ে চলেছে ‘কংজাঙ্কটিভাইটিস'। বাংলার ঘরে ঘরে যা 'জয় বাংলা' নামে পরিচিত, সেই অস্বস্তিকর রোগটিই হল তামিলনাড়ুতে 'মাদ্রাজ আই'। খুবই ছোঁয়াছে এই মাদ্রাজ আই এই মুহূর্তে তামিলনাড়ুতে ৪ থেকে ৫ হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে এই ‘মাদ্রাজ আই’য়ের সমস্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন সুব্রহ্মণ্যম আর্জি জানিয়েছেন, যাঁরাই এই রোগে আক্রান্ত হবেন, তাঁরা যেন নিজেদের আলাদা করে নেন। ছবি: আনস্প্ল্যাশ
2/6সমুদ্র সৈকত শহর চেন্নাই। সেখানে ক্রমেই ছড়াচ্ছে এই 'মাদ্রাজ আই' বা চোখ ওঠার সমস্যা। ক্রমেই 'কংজাঙ্কটিভাইটিস' এর সংক্রমণ এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে দ্রুত হারে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিন বলছে, তামিলনাড়ুর প্রায় দেড় লাখ মানুষ এই রোগের চিকিৎসাধীন থেকেছেন এখনও পর্যন্ত। জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী এই সমস্যায় ভুগে আসছেন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে। রোজই প্রায় ভরে থাকছে চেন্নাইয়ের সরকারি হাসপাতাল।
3/6চেন্নাইয়ের ১০ টি সরকারি হাসপাতালে কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা নিয়ে বহু রোগী আসছেন রোজ। দেখা যাচ্ছে, সালেম ও ধর্মপুরীর মতো রাজ্যে এই রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। প্রসঙ্গত, উত্তর পূর্ব মৌসুমী বায়ু এখনও সক্রিয় তামিলনাড়ুতে। ফলে তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রিতে নেমে যাচ্ছে কখনও কখনও। আর এই মরশুমেই সেখানে ছড়াচ্ছে চোখের এই রোগ।
4/6এদিকে, এই বছর দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বর্ষার রেশ আরও তীব্র হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ৯০ শতাংশ 'কংজাংকটিভাইটিস'কেস অ্যাডিনোভাইরাসের। যার ফলে চোখ চুলকোবে, জ্বালা করবে, লাল হবে। অনেকের দ্বিতীয় চোখে খুব সহজেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটি চেন্নাইতে শিশুদের মধ্যেও বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রায় ৫০০ রোগী আসছেন। তবে প্রতিবছরই এই মরশুমে এমন রোগ চেন্নাইতে দেখা যায়। এই বছরই তার বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ
5/6কংজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ- বাংলায় যা চোখ ওঠা বা ‘জয় বাংলা’ নামে পরিচিত, সেই কংজাঙ্কটিভাইটিস রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হল, চোখের সাদা জায়গা ধিরে ধিরে লালচে হওয়া। সঙ্গে থাকবে একটু জ্বালাভাব ও চুলকানি। চোখ থেকে অনেক বেশি জল পড়বে। ছবি: পিক্সাবে
6/6কী কী করণীয়- এই রোগ হলে, নোংরা কাপড় চোখের কাছ থেকে দূরে রাখুন। জলা জায়গা, বা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা থেকে দূরে থাকুন। নোংরা হাত চোখে দেবেন না। অতিরিক্ত গরম বা রোদে বের না হওয়া ভালো। যতদিন না সারছে চোখে কালো চশমা রাখতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগ সারাতে আই ড্রপ কাজে দিতে পারে।