Navratri 2022: শারদীয়া নবরাত্রি কেন পালন করা হয়? এর গুরুত্ব কী জানেন?

Navratri 2022: শারদীয়া নবরাত্রি হচ্ছে হিন্দুদের নয়দিনের একটি বিশেষ উৎসব। মহিষাসুরকে বধ করে মা দুর্গা পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়েছিলেন, সেই কথা মনে রেখেই এই উৎসব।

নবরাত্রির ইতিহাস

পশ্চিমবঙ্গে শারদীয়া নবরাত্রির শেষ পাঁচদিন বিশেষ ভাবে পালন হয়ে থাকে, মূলত বাঙালিদের দ্বারা। কিন্তু গোটা দেশ জুড়ে এই নবরাত্রি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। দেশের সমস্ত প্রান্তেই কম বেশি এই নয়দিনের আলাদা রকমের গুরুত্ব আছে। এই সময় দেবী দুর্গার যে নয়টি রূপ আছে, সেগুলোর পুজো করা হয়ে থাকে। একটা গোটা বছরে হিন্দুরা মোট চারটি নবরাত্রি পালন করে থাকে এর মধ্যে দুটি বিশেষ পালন করা হয়, একটা চৈত্র নবরাত্রি, যখন বাসন্তী পুজো হয়। আরেকটি হল শারদীয়া নবরাত্রি, যখন দুর্গাপুজো হয়।

শারদীয়া নবরাত্রির সূচনা হয় আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত। চলতি বছর নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে, যা চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

নবরাত্রির ইতিহাস

দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের উল্লাসকে, খারাপের উপর ভালোর জিতে যাওয়াকে উদযাপন করা হয় নবরাত্রির মাধ্যমে। এই গল্পের সূচনা তখন হয় যখন মহিষাসুরকে ব্রহ্মা অমরত্বের বর প্রদান করেন, কিন্তু এখানে একটা শর্ত রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন একজন নারীর হাতেই তাঁর মৃত্যু হবে। কিন্তু মহিষাসুর সেটা বিশ্বাস করেননি। নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করে সারা পৃথিবীর মানুষকে অতিষ্ট করে তোলেন। দেবতারাও তাঁকে থামাতে পারেন না। তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর তাঁদের শক্তি মিলিয়ে তৈরি করেন দেবী দুর্গাকে। তাঁকে প্রদান করা হয় নানাবিধ অস্ত্র। মা দুর্গা এবং মহিষাসুরের মধ্যে এই যুদ্ধ টানা দশদিন ধরে চলেছিল। তারপর সে তখন মহিষের রূপ ধারণ করে তখন দেবী দুর্গা তাঁকে বধ করেন।

নবরাত্রি উদযাপন এবং গুরুত্ব: গোটা ভারত জুড়ে বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন আচার মেনে এই নয়দিন উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। নবরাত্রির এক একটা দিন দেবী দুর্গার এক একটি রূপকে পুজো করা হয় থাকে। দেবীকে প্রতিদিন এই সময় ভোগ দেওয়া হয়, নতুন জামা পরা হয়। ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়ে থাকে। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, গুজরাট, ইটাইডি জায়গায় ভীষণ বড় করে নবরাত্রি পালন করা হয়। তবে সেখানে নবরাত্রি পালনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য গল্প। তাঁরা রাম রাবণের যুদ্ধের কথা ভেবে থাকেন। কারণ এই সময় তাঁদের যুদ্ধ হয়েছিল যা দশদিন ধরে চলে এবং দশমীর দিন রাম রাবণকে বধ করেন। তাই তো দশমীর দিন আজও এসব জায়গায় রাবণ পোড়ানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ সব গল্পের নেপথ্যে আছে, খারাপের উপর ভালোর বিজয়।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম, ইত্যাদি জায়গায় দশমীর দিন দেবী দুর্গার বিসর্জন হয় নদী বা সমুদ্রে। তিনি দেবলোকে ফিরে যান।

এই নয়টা দিন জুড়ে অনেক মজা, নাচ, গান, হুল্লোড় হয়ে থাকে।