ভারতে ঢুকে পড়েছে নতুন ওমিক্রন। এখনও সেভাবে মারাত্মক আকার না নিলেও এই ওমিক্রন দীপাবলির মরশুমে মারাত্মক আকারে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই সময়ে উৎসবের মেজাজে মানুষের মধ্যে মেলামেশার পরিমাণ বাড়ভে, কমবে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতাও। সেই কারণে দীপাবলি, গোবর্ধন পুজো এবং ভাইফোঁটার সময়ে সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
হালে ওমিক্রনের দুই নতুন রূপ BA.5.1.7 এবং BF.7 নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই দুই রূপ চিনে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চিনের কিছু জায়গায় এই দুই রূপের কারণে লকডাউনও ঘোষণা করতে হয়েছে। এর মধ্যে BF.7 পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও। আর সেটিই বর্তমানে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগে রেখেছে।
কতটা ভয়ের হয়ে উঠতে পারে নতুন ওমিক্রন?
বিজ্ঞানীর বলছেন, সারা পৃথিবী জুড়েই করোনার সংক্রমণের হার কমছে। ওমিক্রন নিয়েও আর তেমনই ভয় কাজ করছে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, করোনাও থেমে গিয়েছে। এটিও প্রতি মুহূর্তে নিজেকে বদলাচ্ছে। ফলে এখনই বলা সম্ভব নয়, এই নতুন ওমিক্রন কতটা ভয়ের হয়ে উঠতে পারে। তবে এটির সংক্রমণের হার যে আগের ওমিক্রনগুলির তুলনায় বেশি, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। সেই হিসাবে কিছুটা সতর্ক থাকার দরকার আছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
নতুন এই করোনা সংক্রমণের উপসর্গগুলি কী কী?
বিশেষজ্ঞদের মত, নতুন করোনার উপসর্গগুলি আগের ওমিক্রনের মতোই হবে। তার চেয়ে খুব বেশি আলাদা কিছু হবে না। তবে যেহেতু এখনও পর্যন্ত খুব বেশি মানুষ এই নতুন ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি, তাই হাতে বেশি তথ্য আসেনি। সেটি এলে বলা সম্ভব, নতুন ওমিক্রনের উপসর্গগুলি কী কী হতে পারে।
দীপাবলিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ হল দীপাবলি উৎসবের মরশুমে মানুষের মধ্যে মেলামেশার পরিমাণ বাড়বে। স্বাস্থ্যবিধিও হয়তো অনেকে মেনে চলবেন না। আর সেটিই এই মরশুমে নতুন ওমিক্রনকে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ করে দেবে।
কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত এই সময়ে?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সময়ে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাতে নিজে এবং কাছের মানুষ নিরাপদে থাকবেন
- যত কম মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করা সম্ভব, তা করুন।
- নিয়ম মেনে টিকা নিন। বুস্টার নেওয়ার সময়ে এসে গেলে, সেটিও নিন।
- কাশি এলে মুখ ঢেকে কাশুন। রুমাল ব্যবহার করুন।
- মাস্ক পরার অভ্যাস চলে গিয়ে থাকলে, তা ফিরিয়ে আনুন এবং বজায় রাখুন।
- কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
এই সব নিয়মগুলি আপাতত মেনে চলার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই। কিন্তু সাবধান থাকতে হবে এই সময়ে।