কলকাতার কাছেই আছে এমন এক জায়গা যেখানে গেলে ইতিহাসের এক অন্য দরজা খুলে যাবে। দেখবেন প্রাচীন ঘড়ি। ভূ ভারতে নাকি এমন আর নেই।
1/4 বিগবেনের কথা তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু জানেন কি কলকাতার কাছেই আছে এক বিষ্ময়কর ঘড়ি। ১৮৫২ সালে ১১হাজার ৭২১ টাকায় কেনা হয়েছিল সেই ঘড়ি। সেই ঘড়ি আজও চলছে সময় মেনেই। কলকাতা থেকে ঘণ্টা খানেকের মধ্য়েই আপনি চলে যেতে পারবেন সেই জায়গায়।
2/4 হুগলির ইমামবাড়া। ব্যান্ডেল চার্চের পাশ থেকে নৌকায় চেপেও যান অনেকে। গঙ্গাবক্ষে বেশ অন্যরকম লাগে। ১৮৪১ থেকে ১৮৬১ সাল, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তৈরি হয়েছিল এই অপরূপ ইমামবাড়া। হাজি মহম্মজ মহসিনের রেখে যাওয়া ফান্ড থেকে তৈরি হয়েছিল এই ইমামবাড়া। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা ইমামবাড়ার দরজা। প্রাচীন এই স্থাপত্যেই লেখা আছে এই কথা। আসলে বাংলার সম্প্রীতির অন্যতম পীঠস্থান এই ইমামবাড়া। ইমামবাড়ার কেয়ারটেকার তথা গাইড এমডি রেজওয়ান হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, বহু বিখ্যাত মানুষ এই ইমামবাড়া ও ঘড়ি দেখতে আসেন। ( এই সেই প্রাচীন ঘড়ি)
3/4 এবার আসা যাক ইমামবাড়ার প্রাচীন ঘড়ির কথায়। ইমামবাড়ার ১৫০ ফুট উঁচু চূড়াতে রয়েছে এই ঘড়ি। বলা হয় সম্ভবত ভারতে অন্য কোথাও এমন ঘড়ি নেই। ইমামবাড়াতেই লেখা রয়েছে একথা। মীর কেরামত আলি এই ঘড়ি কিনে এনেছিলেন বিদেশ থেকে। সপ্তাহে একদিন দম দিতে হয় এই ঘড়িতে। দম দেওয়ার চাবিটির ওজনই ২০ কেজি। সপ্তাহে একবার দম দিতে হয়। কমপক্ষে দুজন লাগে এই ঘড়ি দম দিতে। ( এটা হল গঙ্গার পাড়ে থাকা সূর্যঘড়ি)
4/4 ঘড়ির মেশিন ঘরের ঠিক ওপরের দিকে তিনটি ঘণ্টা পরপর রয়েছে। যার ওজন হল ৮০ মন, ৪০ মন ও ৩০ মন। মাঝারি ও ছোট ঘণ্টা দুটি ১৫ মিনিট অন্তর বাজে আর বড় ঘণ্টা বাজে প্রতি ঘণ্টায়। সিঁড়ি বেয়ে উঠে দেখে আসতেও পারেন। এখানে সৌর ঘড়িও আছে। ঘুরে আসতে পারেন হুগলির ইমামবাড়া। কিছুক্ষণ বসে থাকুন। বেশ শান্তি লাগবে। ব্যান্ডেল, হুগলি বা চুঁচুড়া স্টেশন থেকে অটোতে ইমামবাড়া চলে আসতে পারেন।