হয়তো একে অপরকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেননা, কিন্তু মুখোমুখি দেখা হলেই প্রবল ঝগড়া হচ্ছে! বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রেমজীবনের ফুরফুরে মেজাজের পপর সংসার জীবনের বিভিন্ন চাপ, কর্তব্যের মাঝখানে দুজন মানুষ নিজেদের আসল সত্ত্বা বিভিন্নভাবে হারাতে বসেন! তবে, এমনও বহু দম্পতি রয়েছে, যাঁরা সংসারের সমস্ত চাপ সামলেও নিজেদের বৈবাহিক প্রেমকে নিটোল রেখেছেন! তবে সদ্য বিয়ের পরই যে সমস্ত দম্পতি প্রায়সই ঝগড়ায় লিপ্ত হন, তাঁদের জন্য রয়েছে বিশেষজ্ঞদের কিছু টিপস। অজান্তে সংসারের চাপে এই ভুলগুলি থেকে দূরে থাকলেই দাম্পত্য প্রেম চরমে পৌঁছতে পারে!
চেঁচামিচি ও চিৎকার
সমস্যা সমস্ত দাম্পতিদের জীবনেই থাকে। তবে সমস্যা নিয়ে চেঁচিয়ে ঝগড়া করা একেবারেই শোভনীয় নয়। বসে ধীরে সুস্থে কথা বলার জায়গায় যদি ক্রমাগত চেঁচিয়ে, চিৎকার করে কথা বলা হয়,তাহলে সমস্যা বেড়ে যেতে থাকে। দুইপক্ষেরই জেদ উপরে উঠতে থাকে। ফলে সমস্যার সমাধানে একজনকে শান্ত হতেই হবে। কথা বলতে হবে বসে। আরও পড়ুন-বই পড়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্যও কতটা প্রয়োজনীয় জানেন? মিলবে এই উপকারগুলি
জীবনসাথীকে শত্রু মনে করবেন না!
অনেক সময় রোজ রোজ ঝগড়া থেকে সঙ্গীর প্রতি একটা তিক্ততা জন্মায় ভিতরে। আর তার জেরেই সঙ্গীকে নিজের শত্রু বলে মনে করতে শুরু করেন অনেকে। একেবারেই নিজের স্ত্রী বা স্বামীকে নিজের শত্রু ভাবাটা বন্ধ করুন। এবিষয়ে তৃতীয় পক্ষের কথা না শুনে, নিজেরা কথা বলুন।
আর্থিক গোপনীয়তা
অনেক সময় দাম্পত্যে দুই সঙ্গীই যখন কর্মরত থাকেন, তখন আর্থিক নানান বিষয়, খরচ সামনে আসে। এই আর্থিক বিষয়গুলি নিয়ে নিজেদের মধ্যে স্পষ্ট থাকুন। স্বচ্ছ্ব থাকুন একে অপরের কাছে। কোনও আর্থিক দিক একে অপরের থেকে লোকানো মানেই বড়সড় ভুলের ফাঁদে পা দেওয়া! আরও পড়ুন-এপ্রিলের শেষে আসতে পারে নতুন গাড়ি, অর্থভাগ্যে জোয়ার থাকবে কাদের? জানুন রাশিফলে
তৃতীয় ব্যক্তিকে জায়গা করে দেওয়া
দু'জনের ভিতরের সমস্যা নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করুন। এটা নিয়ে কখনও তৃতীয় কারোর সঙ্গে কথা বলতে যাবেন না। কারণ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে বহু সময়ই তৃতীয় ব্যক্তির ইন্ধন উস্কানি দিয়েছে এমন উদাহরণ রয়েছে প্রচুর।
জীবনে কি তৃতীয় কেউ এসেছেন?
দাম্পত্যে থেকেও সঙ্গীর বাইরে কারোর হাতছানি কি আপনাকে আকৃষ্ট করছে? বা সঙ্গীর উদাসিনতা আপনাকে অন্যের কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছে? এই সমস্যা বড়সড় আকার নেয় জীবনে। ফলে সুখী সংসার ও জীবন পেতে গেলে এই মানসিক দ্বন্দ্ব নিয়েও খোলাখুলি সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। অন্যদিকে, অপরপক্ষকেও বিষয়টি বুঝে পরিণতভাবে সমস্যার সমাধানের রাস্তা বের করে নিতে হবে।