পেট ভরানোর খাবার বলতেই আমরা যে খাবারগুলো বুঝি, তার মধ্যে অন্যতম হল ছাতু। ছাতু দিয়ে নানারকম পদ যেমন শরবত, ছাতুমাখা, লিট্টি, বরফি ইত্যাদি রাঁধা যায়। স্বাস্থ্যকর খাবার যারা খান, তারা সবসময় ছাতুকে গুরুত্ব দেন। কিন্তু এখনকার জীবনযাপনে বাইরের তৈলাক্ত ও মশালদার খাবার খাওয়া অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ফাস্টফুডের ভিড়ে ছাতু খাওয়া অনেকটাই কমে গিয়েছে।
ছোলার ডাল পেষাই করে ছাতু তৈরি করা হয়। তাই ডালের যা যা গুণ, সে সবই ছাতুতে থাকে। ছাতুর গুণের কথা বলে শেষ করা মুশকিল। একাধিক গুণের জন্য চিকিৎসকরাও মাঝে মাঝে এই দারুণ খাবারটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে ত্বক ভালো রাখার মতো অনেক গুণ রয়েছে ছাতুর। এই প্রতিবেদনে সেগুলোরই হদিশ থাকছে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। অর্থাৎ এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না। তাই চিকিৎসকরা ডায়াবিটিস রোগীদের রোজ ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেন। ছাতুর মধ্যে থাকা ফাইবার খুব ধীরে ধীরে হজম হয়। পাশাপাশি এটি ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।
রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে: ছাতুর ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ধমনীতে রক্ত সঞ্চলন বাধা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ছাতু খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলও বাড়তে পারে না।
হজম করায়: ছাতুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে। খাবার ভেঙে তা হজমে সাহায্য করে বলেই চিকিৎসকরা নিয়মিত এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
চুল ও ত্বক ভালো রাখে: ফাইবারের পাশাপাশি ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটমিন ও বেশকিছু খনিজ পদার্থ থাকে। এগুলো ত্বকের উপকার করে। এমনকি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।