সিরাম ইনস্টিটিউটের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে বম্বে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নোটিশ পাঠানো হয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে কারণ একজন দাবি করেছেন যে তাঁর কন্যার মৃত্যু হয়েছে কোভিশিল্ড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই। তাই তিনি এই টিকা প্রস্তুতকারকদের থেকে এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
যে ভদ্রলোক এই পিটিশন ফাইল করেছেন তাঁর নাম হল দিলীপ লুন্বাত। তিনি ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। তাঁর কন্যা, স্নেহাল লুন্বাত ডাক্তারির ছাত্রী ছিলেন, তাঁকে গত ২৮ জানুয়ারি অ্যান্টি কোভিড টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড দেওয়া হয় যেহেতু তিনি একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি এসএমবিটি ডেন্টাল কলেজ এবং হসপিটালের সিনিয়র লেকচারার এবং চিকিৎসক। সিরাম ইনস্টিটিউটের নির্মিত কোভিশিল্ড টিকা নেন তিনি, এরপর থেকেই তাঁর আচমকাই মাথা ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। যখন তিনি হাসপাতালে যান চিকিৎসকরা দেখেন তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর ১ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। সেই পিটিশনে এমনটাই স্নেহালের বাবা দাবি করেছেন।
এই পিটিশনে দিলীপ লুন্বাত একই সঙ্গে বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটসকে দাবি করেছেন কারণ তাঁদের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটকে এই টিকা বানাতে সাহায্য করেছিল। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার, মহারাষ্ট্রের সরকার এবং ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল এর উত্তরও দাবি করেছেন এই বিষয়ে।
এই পিটিশনে দিলীপ লুন্বাত আরও বলেন যে তাঁর কন্যার মতো আরও অনেককেই এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হতে হচ্ছে এবং এভাবেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হচ্ছে।
বিচারপতি এস ভি গঙ্গাপুরওয়ালা এবং মাধব জমদারের ডিভিশন বেঞ্চ ২৬ অগস্ট একটি নোটিশ জারি করেছে এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত এবং যাঁদের নাম উল্লেখ আছে পিটিশনে তাঁদের উদ্দেশ্যে। ১৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।