এসে গিয়েছে শীত। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যপ্রেমীরা নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার উপভোগ করতে চান। এই সময় অনেক ফল ও সবজি আসে যা খুবই উপকারী। কিন্তু কিছু খাবার আছে, যেগুলো নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। শীতকালে সেগুলি খাওয়া উচি, নাকি উচিত নয়— তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। এই ধরনের খাবারের তালিকার গোড়াতেই থাকবে দই।
শীতে এমন বহু খাবার অনেকে খেতে পছন্দ করেন, দই ছাড়া যেগুলি খেতে মোটেই ভালো লাগে না। কিন্তু দই শীতে খাওয়া উচিত হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকায়, অনেকেই এই খাবারগুলিকেও ত্যাগ করেন। এটি কি আদৌ সঠিক সিদ্ধান্ত?
দই পুষ্টির ভান্ডার
দই থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটি ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং প্রোটিনেরও ভালো উৎস। এতে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামও রয়েছে। এতে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন বি৬ এবং বি১২-এর মতো পুষ্টি উপাদানও রয়েছে।
আয়ুর্বেদ দই সম্পর্কে কী বলা হয়েছে
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার সাভালিয়ার মতে, দই স্বাদে টক, গরম প্রকৃতির এবং হজম হতে বেশি সময় নেয়। এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং হজম শক্তির উন্নতি ঘটে।
ঠান্ডায় দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি কিছু গ্রন্থি থেকে নিঃসরণ বাড়ায়, ফলে কফের সমস্যা দেখা দেয় যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। শ্লেষ্মা তৈরির ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সর্দি এবং কাশি আছে এমন লোকদের অনেক সমস্যা হয়। তাই শীতকালে এবং বিশেষ করে রাতে দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
কখন এবং কীভাবে দই সেবন করবেন
- ওবেসিটি বা অতিরিক্ত মেদ, কফের সমস্যা, রক্তপাতজনিত সমস্যা এবং যাদের শরীর ভারী হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাঁদের এই সময়ে দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি দই খেতে চান, তবে আপনি এটি মাঝে সাঝে বিকেলে এবং কম পরিমাণে খেতে পারেন।
- প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি প্রতিদিন দই খেতে চান, তাহলে আপনি ঘোল হিসাবে খেতে পারেন, যাতে বিভিন্ন মশলা যেমন লবণ, কালো মরিচ এবং জিরা মেশানো থাকে।
- দই কখনও ফলের সঙ্গে মেশানো উচিত নয়। কারণ এটি একটি চ্যানেল ব্লকার (বেমানান খাবার)। এটি দীর্ঘ সময় ধরে খেলে হজমের সমস্যা এবং অ্যালার্জি হতে পারে।
- মাংস ও মাছের সঙ্গেও দই খাওয়া উচিত নয় কারণ মুরগি, মাটন ও মাছের মতো খাবার দই দিয়ে রান্না করা হলে শরীরে টক্সিন বাড়ে।