খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি হোক বা ত্বকের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা, টমেটোর ভূমিকাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। সবজির পাশাপাশি স্যালাড হিসেবেও টমেটো খাওয়া হয়ে থাকে। নানান রোগের হাত থেকে বাঁচাতে টমেটো কার্যকরী। ক্যানসার থেকে রক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, চোখের সমস্যা দূর করা — এই সমস্ত কিছুই টমেটোয় উপস্থিত পুষ্টিগুণের সাহায্যে সম্ভব হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অত্যধিক মাত্রায় টমেটো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এর ফলে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
গ্যাসের সমস্যা- অম্ল জাতীয় খাদ্য এটি। অধিক পরিমাণে টমেটো খেলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যা থাকলে সীমিত পরিমাণে টমেটো খান।
অ্যালার্জি- অনেকেরই আবার টমেটোয় অ্যালার্জি রয়েছে। মুখ, জিহ্বায় ফোলাভাব দেখা দেয়। আবার অনেকের হাঁচি ও গলার সংক্রমণও দেখা দিয়ে থাকে। তাই টমেটোয় অ্যালার্জি থাকলে একে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন।
গাটের ব্যথা- প্রয়োজনের অতিরিক্ত টমেটো খেলে ব্যক্তির জয়েন্ট ফুলে যেতে পারে ও ব্যথা হতে পারে।
কিডনির সমস্যা- মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ অনুযায়ী, আগে থেকেই যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের নিজের খাবারে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার-দাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত। টমেটোয় অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। এ ছাড়াও টমেটোর বীজ কিডনিতে স্টোনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। টমেটোর বীজ মোটেই সহজপাচ্য নয়। তাই খাবার সময় লক্ষ্য রাখবেন, এটি যেন কম পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে।
শরীরের দুর্গন্ধের কারণ- টমেটোয় উপস্থিত টরপিন্স শরীরে দুর্গন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কমতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- এতে এমন কিছু ক্যারোটিনয়েডস থাকে, যা ইমিউন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। বেশি পরিমাণে কাঁচা টমেটো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কুপ্রভাব ফেলে থাকে।
পাল্টে ফেলতে পারে ত্বকের রঙ- দীর্ঘ সময় ধরে অধিক পরিমাণে টমেটো খেলে তা ত্বকের রঙও পাল্টে ফেলতে পারে।