গাড়ি ঠিক রাখতে সব পার্টস যেমন ভালো রাখতে হয় ঠিক তেমনি আমাদের শরীর একটি গাড়ি, যার প্রত্যেকটি অঙ্গকে ভালো রাখা জরুরি। শরীরের প্রতিটি অঙ্গই খুব গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট, ফুসফুস, কিডনি প্রত্যেকটির রয়েছে আলাদা আলাদা কাজ। শরীরকে সুস্থ রাখতে এইগুলিকে ভালো রাখা আমাদের দায়িত্ব।
আমাদের হার্ট শরীরের রক্তকে পাম্প করে। সেই রক্তের ২০% কিডনিতে পৌঁছয়। তারপর কিডনি সেই রক্তকে ফিল্টারের কাজ করে থাকে। ফিল্টারের কাজ যেমন দূষিত জলকে ছেঁকে পরিষ্কার করা। তেমনি আমাদের শরীরে ফিল্টারের কাজ করে থাকে কিডনি। এটি শরীর থেকে দূষিত জিনিসকে ছেঁকে রক্তকে পরিষ্কার করে। কিডনি মূত্রের সাহায্যে শরীরের খারাপ পদার্থকে বের করে দেয়। আর যদি এই কিডনিই খারাপ হয়ে যায়, বা ঠিকঠাক না কাজ করে তাহলে বুঝতে পারছেন কী হতে পারে!
কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলে শরীরে খারাপ জিনিস জমতে থাকে। অতিরিক্ত টক্সিন বের হতে পারে না। হাত, পা, পেট ফুলে যাওয়া হল কিডনি খারাপের প্রাথমিক লক্ষণ। কিডনি যখন কাজ করা বন্ধ করে দেয় তখন শরীরের এই অঙ্গগুলি ফুলে যায়। কারণ এর ফলে শরীরের বাড়তি লবণ, ও জল বিভিন্ন টিস্যুতে জমা হয়ে যায়। টিস্যুগুলি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
অনেক সময় কিডনি ফেলিয়র বা খারাপের লক্ষণ গুলি সহজে চোখে পড়ে না। তাই কিডনি ফেলিওরকে ডাক্তারি ভাষায় সাইলেণ্ট কিলারও বলা হয়ে থাকে। তবে যদি এর লক্ষণগুলি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে এর চিকিৎসা করা সম্ভব।
কীকরে বুঝবেন আপনার কিডনি খারাপ হয়েছে?
আপনার মুখের চারপাশে ফোলাভাব লক্ষ্য করা যাবে। কিডনির প্রাথমিক কাজ হল শরীরের টক্সিনের মাত্রা কমানো। অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখা। কিডনি ঠিকঠাক ভাবে কাজ না করলে আপনাকে দেখাবে ক্লান্ত, ও অবসন্ন।
বহুমূত্র হল কিডনি খারাপের আর একটি প্রধান লক্ষণ। বারবার প্রস্রাব পাওয়া, মূত্রথলিতে যন্ত্রণা খারাপ কিডনির লক্ষণ। কখনও কখনও এর জন্য রক্ত প্রস্রাবও হতে পারে। কিডনির সমস্যা হলে রোগীর ফুসফুসে জল জমে যায়। রোগী বুকে ব্যথা অনুভব করে। তাই এই লক্ষণগুলি দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।