কোনও ব্যাপারে সারা পৃথিবীতে অদ্বিতীয় হলে নাম উঠে যায় গিনিস বুকে। তানিয়া হারবার্টের গল্পটাও তেমনই। আমেরিকা নিবাসী এই তরুণী কিছু দিন আগেই জায়গা করে নিলেন গিনিস বুকে। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পায়ের পাতা রয়েছে এমন নারী তানিয়া হারবার্ট। তাঁর বাম পাতার দৈর্ঘ্য ৩২.৫ সেন্টিমিটার আর ডান পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ৩৩.১ সেন্টিমিটার। শুধু পায়ের জোরেই পৃথিবীর সমস্ত মহিলাদের মধ্যে সগর্বে গিনিস বুকে নাম তুললেন তানিয়া! তাঁর কথায়, ১৮ নম্বরের জুতো না হলে পা আঁটে না। তবে পায়ের পাতা লম্বা হওয়ার কারণও আছে। উচ্চতাতেও পুরুষদের অনায়াসে টেক্কা দেবেন এই তরুণী। তানিয়ার উচ্চতা ছয় ফুট নয় ইঞ্চি। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী রুমেসা গেলগির থেকে তাঁর উচ্চতা মাত্র তিন ইঞ্চি কম। রুমেসা গেলগির উচ্চতা সাত ফুট ০.৭ ইঞ্চি।
গিনিস বুকে নাম ওঠাতে ভীষণ খুশি তানিয়া। তাঁর কথায়, তাঁর মায়ের উচ্চতা ছিল ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি, আর বাবা ছিলেন ছয় ফুট চার ইঞ্চি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর লম্বা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই কারণে স্কুলে কেউ কখনও তাঁর পিছনে লাগেনি। অনেক সময় অতিরিক্ত লম্বা বা খাটো হওয়ার কারণে স্কুলের বন্ধুরা টিটকিরি দেয় বা পিছনে লাগে। তানিয়াকে কখনও এমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বরং বন্ধুরা তাঁকে যথেষ্ট ভালোবাসত। এমনকি কোনও অসুবিধায় পড়লে সাহায্যও করতো।
তবে জুতো কেনার সময় বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে তানিয়াকে। তাঁর সাইজের জুতো বাজারে একেবারেই উপলব্ধ নেই। আমেরিকান মাপের হিসেবে মেয়েদের পায়ের সাইজ ১২ বা ১৩ হলেই জুতো কিনতে গিয়ে ভীষণ ঝক্কি পোয়াতে হয়। সেখানে তাঁর পায়ের সাইজ ১৮ । এজন্য তাঁকে বরাবর ছেলেদের জুতো কিনে কাজ চালাতে হত। তাতেও সবসময় কাজ হত না। সবচেয়ে বড় সাইজের জুতোটি কিনে সেটা আবার নিজের মতো করে চওড়া আর লম্বা করে নিতে হত। তানিয়ার আশা, তাঁর খবর পেলে জুতোর সংস্থাগুলো নিশ্চয়ই এবার থেকে কিছু বড় সাইজের জুতো তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, সবচেয়ে লম্বা পায়ের পাতা রয়েছে এমন পুরুষ হলেন ভেনেজুয়েলা নিবাসী জেসন অরল্যান্ডো রডরিগেজ হার্নান্দেজ। তাঁর পায়ের পাতা ২৬ সাইজের জুতো না হলে আঁটে না!