বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Parenting Tips: ছোট থেকেই সন্তানকে দায়িত্ব নিতে শেখানো জরুরি, কীভাবে শেখাবেন

Parenting Tips: ছোট থেকেই সন্তানকে দায়িত্ব নিতে শেখানো জরুরি, কীভাবে শেখাবেন

সন্তানকে কীভাবে দায়িত্ব নিতে শেখাবেন?

Parenting Tips: অল্প বয়স থেকেই নানারকম দায়িত্ব নিতে শেখানো উচিত খুদেকে। এতে পরিবারের নানা কাজে তার অংশগ্রহণ বাড়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

পেরেন্টিং-এর সময় মা ও বাবাকে নানারকম সমস্যারই সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল বাচ্চার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নানারকম দায়িত্ব নিতে শেখানো। এমনিতে সব অভিভাবকেরাই তাদের বাচ্চাকে পরিশ্রমের কাজ করতে দেন না। কোনও সমস্যা হলে নিজেরাই এগিয়ে যান। তবে, সাম্প্রতিককালে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চার বয়স যাই হোক, তাকে ছোটখাটো কাজ করতে দেওয়া উচিত। এই কাজ করার মধ্যে দিয়ে বাচ্চার কগনিটিভ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি দায়িত্ববোধও তৈরি হতে থাকে। যত ছোট বয়স থেকে বাচ্চার মধ্যে এই দায়িত্ববোধ আসে, ততই সে নিজে নানারকম সমস্যার সমাধান করতে শেখে। এর পাশাপাশি পরিবারের নানা সমস্যা সমাধানে সে অংশ নিতে এগিয়ে আসে। বর্তমান সময়ে পরিবারের সদস্যদের ভিতর সুন্দর বন্ধন গড়তে এটি আরও বেশি প্রয়োজন।

মনোবিদ ডাঃ জ্যাসমিন ম্যাকয় ইনস্টাগ্রামে নিয়মিত পেরেন্টিং ও শিশুর যত্ন নেওয়ার বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ইদানীং বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়েও তেমনই পোস্ট শেয়ার করেছেন জ্যাসমিন। টুডলার থেকে টিনএজ পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সে বিভিন্নরকমের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ছোট দিয়ে শুরু (প্রথম এক বছর): জন্মের পর বেশ কয়েকমাস পর্যন্ত বাচ্চা সময় নেয় তার চারপাশ চিনে নিতে। সেই কাজে বাচ্চার সঙ্গী হওয়া উচিত তার মা-বাবারও।

টুডলার (দুই থেকে তিন বছর): বাচ্ছা হাঁটতে শিখলে তাকে ধীরে ধীরে ছোটখাটো দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এই বয়সে তাকে শেখানো যেতে পারে ময়লা কীভাবে ময়লাবাক্সে ফেলতে হয়। এছাড়াও নিজের খেলনা জায়গা বুঝে রাখাও শেখানো প্রয়োজন।

প্রিস্কুলার (চার থেকে ছয় বছর): এই বয়সে খুদেকে আরেকটু বড় দায়িত্ব দেওয়া যায়। স্যান্ডুউইচ বানানো শেখানো যায় তাকে। পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার পর কীভাবে ডিনার টেবিল পরিস্কার করতে হয়, তাও শেখান।

স্কুল যাওয়ার বয়স (সাত থেকে এগারো বছর): এই বয়সে খুদে শিখে নিতে পারে কীভাবে রান্নার সরঞ্জাম যেমন শাকসব্জি, ফল ও বাসন গুছিয়ে রাখতে হয়। এছাড়াও অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে তাকে ছোটখাটো রান্নাও করতে দেওয়া যেতে পারে।

টিন-এজ (বারো বছরের বেশি): এই বয়সে বাড়ির পোষ্যের খেয়াল রাখা থেকে তাকে স্নান করানো ইত্যাদি তাকে দেওয়া যায়। পাশাপাশি মাঝে মাঝে বাজার থেকে জিনিস কিনে আনা শেখানো যেতে পারে। একইসঙ্গে ছোট্ট বোন বা ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে শেখালে আপনিও কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পারেন।

 

বন্ধ করুন