সুস্থ থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। তবে অনেকেই আছে বাজারচলতি ধারণার উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের খাবার বাদ দিয়ে যান। কিছু খাবার আছে যেগুলো বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের ক্ষতি হয়, কিন্তু স্বল্প ও পরিমিতভাবে খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। কেউ কেউ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়েই কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, সুগার বাদ দিয়ে দেন। যার ফলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তেই পারে।
খান পরিমিতভাবে
হেলদি ফ্যাট যেমন ঘি, মাখন বাদ দিয়ে যান কিছু স্ব-ঘোষিত ডায়েট কনশাসরা। কারণ তাঁদের বিশ্বাস এটি তাঁদের মোটা করবে আর কিছু রোগের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেবে। আর এইসব হেলদি ফ্যাট বাদ দিয়ে গেলে হার্টের অসুখ বা কোলেস্টেরলের সমস্যাও হতে পারে।
আমাদের শরীরের ফ্যাট প্রয়োজন। মস্তিষ্ক, নার্ভাস সিস্টেম সমস্ত কিছু কাজ করতে দরকার পরে ফ্যাটের। শুধু এড়িয়ে চলতে হবে ট্রান্স ফ্যাট,রাস্তার খাবার যা বারবার ভাজা হয়, জানান ফর্টিসের চিকিৎসক অশোক শেঠ।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিক্সা ভাবসর ভেঙে দিলেন তিনটি ভ্রান্ত ধারণা খাবার নিয়ে--
মিথ ১: ‘ভাত মোটা করে না, মোটা করে আপনার লোভ’। আপনি যদি পরিদিন পরিমিত পরিমাণে ভাত খান, তাহলে আপনি মোটা হবেন না কখনোই। আমি আমার রোগীদের খিচুড়ি খাবার কথা বলি। আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন তাঁর উপর নির্ভর করবে কারও ওজন বাড়া বা কমা।
মিথ ২: আম খেলে ডায়াবেটিস হয়! যদিও আম হোক বা কলা, আঁতা-- কোনও ধরনের মিষ্টি খাবার খেলেই ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আসলে লোভ সম্বরণ করতে পারলেই হবে। আসল ব্যাপার হল আপনি কতটা অ্যাক্টিভ আর সেই অনুসারে কতটা পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন।
মিথ ৩: অনেকেই আবার ভাবেন ঘি খেলে কোলেস্টেরল হয়। ডাক্তার দিক্সা ভাবসর জানান, তাঁর মত ঠিক উল্টোটা। এ২ গোরুর ঘি গুড কোলেস্টেরল হিসেবে কাজ করে। এবং ফ্যাট সলিউবেল ভিটামিন এ, ডি, ই, কে-র জন্য খুব কাজে আসে। তবে তিনি মোষের দুধের ঘি-র থেকে গোরুর দুধের ঘি-র উপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।