৩ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে টাইফয়েড সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।অল্পবয়সী স্কুল শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বাইরের উৎস থেকে আসা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে বেশি ছড়ায়। প্রতি ৩০ জন রোগীর মধ্যে গড়ে চার থেকে পাঁচ জনকে কাবু করছে এই রোগ।
টাইফয়েড কী?
টাইফয়েড একটি জলবাহিত রোগ। এই রোগের ব্যাকটেরিয়া হল সালমোনেলা টাইফি। এই ব্যাকটেরিয়া দূষিত জল এবং খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বছরে ১২৮০০০ থেকে ১৬১০০ টি মৃত্যু হয় এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে।প্রতি বছর ৮ মিলিয়ন ভারতীয় এই রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়াও ভারতে টাইফয়েডের কারণে ৪০ শতাংশেরও বেশি মৃত্যু হয়।
ব্যাঙ্গালোরের অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের নিওনাটোলজি এবং পেডিয়াট্রিক্স-এর প্রবীণ কনসালট্যান্ট চিকিৎসক পরিমালা ভি থিরুমলেশ এইচটি লাইফস্টাইলকে জানাচ্ছেন, ‘অতিমাত্রায় জ্বর, আতঙ্ক, ক্লান্তি এবং ডায়ারিয়া হল এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণ। চরম পরিস্থিতিতে, এই সংক্রমণের ফলে অন্ত্রে রক্তপাত বা নিউমোনিয়া হতে পারে। এই দুটি রোগই মারাত্মক। টাইফয়েড ছড়ানোর প্রধান মাধ্যমগুলি হল দূষিত খাবারএবং পানীয় জল।’
তিনি আরও জানান,‘আপনার টাইফয়েড থাকলে সহজেই তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আপনি যদি শোওয়ার ঘর থেকে বেরনোর পর হাত না ধুয়ে কোনওকিছু স্পর্শ করেন তাহলে সে জিনিস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপনার ছোঁয়া খাবার কেউ খেলে তারও অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। টাইফয়েড জ্বর এড়াতে পরিষ্কার জল পান করা, স্বচ্ছতার বিধি মেনে চলাও পরিচ্ছন্ন হতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের মতো দেশে এটি অনেকেই মেনে চলেন না। সে কারণেই, টাইফয়েডের টিকাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় বলে মনে করা হয়।’
টাইফয়েডের টীকা নেওয়ারল পাশাপাশি বেশ কিছু স্বাস্থ্য সচেতন অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক পরিমালা ভি থিরুমলেশ। তার মতে নিচের অভ্যাসগুলিই টাইফয়েড রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে।
- নিয়মিত সাবান এবং জল দিয়ে হাত পরিষ্কার.
- পরিশ্রুত জল পান করুন বা অন্তত এক মিনিট জল ফুটিয়ে নিন
- না রান্না করা ফল বা সবজি খাবেন না
- অপরিষ্কার পরিবেশে খাওয়াদাওয়া এড়িয়ে চলুন
- শুধুমাত্র গরম খাবার খান এবং ঘরের তাপমাত্রায় রাখা খাবার থেকে দূরে থাকুন
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup