বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > UK baby with three DNA: এক সন্তানেই তিনটি ডিএনএ! মারণরোগ এড়িয়ে বিরল শিশুর জন্ম ব্রিটেনে

UK baby with three DNA: এক সন্তানেই তিনটি ডিএনএ! মারণরোগ এড়িয়ে বিরল শিশুর জন্ম ব্রিটেনে

এক সন্তানের তিনটি ডিএনএ

এক সন্তানের তিনটি ডিএনএ। বিশেষ প্রক্রিয়ায় জন্ম হল ব্রিটেনের এই শিশুটির। শরীরে একই সঙ্গে তিনজনের ডিএনএ নিয়ে জন্মানো শিশুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক জটিল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।

এক সন্তানের তিনটি ডিএনএ। বিশেষ প্রক্রিয়ায় জন্ম হল ব্রিটেনের এই শিশুটির। শরীরে একই সঙ্গে তিনজনের ডিএনএ নিয়ে জন্মানো শিশুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক জটিল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুটির ডিএনএ-তে ৯৯.৮ শতাংশ ডিএনএ তাঁর মা ও বাবার থেকে এসেছে। বাকি ০.২ শতাংশ এসেছে অন্য এক মহিলা দাতার তরফে। মাইটোকন্ড্রিয়াল (কোশের একটা অংশ) রোগ থেকে শিশুকে বাঁচাতেই  তিনটে ডিএনএ নিয়ে এই পরীক্ষাটি করা হয়। তিনটে ডিএনএ সমেত জন্মানোর ফলে মাইটোকন্ড্রিয়ার (কোশের একটা অংশ) গুরুতর ধ্বংসাত্মক রোগ হবে না।

আরও পড়ুন: ৫২ বছর বয়সে মুখে ব্রণ! হালকা চালেই চিকিৎসককে বলেন মহিলা, তাতেই ধরা পড়ল মারণরোগ

আরও পড়ুন: আর দর কষাকষি নয়, মনমতো সেরা সাইজের মাছ ‘ছাপিয়ে’ খান, কীভাবে খাবেন জেনে নিন

মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন ট্রিটমেন্ট নামে পরিচিত এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটি‌। এই বিশেষ পদ্ধতিতে সুস্থ মহিলা দাতার থেকে ডিম্বাণু নিয়ে আইভিএফ অনুসারে ভ্রুণ তৈরি করা হয়। এর ফলে কোনওরকম ক্ষতিকর কোষের মিউটেশন থেকে রক্ষা পায় শিশু। এমনকি মায়ের থেকে কোনও রোগ শিশুর শরীরে এলে তাও প্রকট হতে পারে না। প্রসঙ্গত, মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ সারে না। এমনকি জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যে এই রোগ ভয়াবহ আকার নেয়। তবে এই শিশুর মধ্যে তার বাবা-মায়ের তরফেই রয়েছে ৯৯ শতাংশ ডিএনএ। এই ডিএনএ-ই শিশুর বিভিন্ন গুণ নির্ধারণ করে দেয়। চোখের মণির রং থেকে চুলের রং, ব্যতিত্ব ইত্যাদি‌। এর পাশাপাশি খুবই সামান্য পরিমাণে থাকছে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ। যা শরীরকে মারণরোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে। 

ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল ক্লিনিকে এই বিশেষ শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা এখনও পর্যন্ত এর কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনেননি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাকটিভ জেনেটিক্সের অধ্যাপক ডাগান ওয়েলস বলেন, এমআরটি রোগে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। তাই এর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাটি কতটা নিরাপত্তা দিচ্ছে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না। তবে ব্রিটেনই প্রথম এই পদ্ধতিতে সন্তান উৎপাদন করল, তা নয়। এর আগে জর্ডনের এক পরিবার আমেরিকায় এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্য নেয়। ২০১৬ সালে এভাবেই তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছিল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup 

বন্ধ করুন