1/5 এখনও মন ভরে পলাশ দেখার সুযোগ হয়নি। দোলের ছুটিতেই চলে যান পুরুলিয়াতে। লাল মাটি, পাহাড়ের কোলে থাকার মজা তো নিতেই পারবেন। সঙ্গে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে রঙে। লাল-হলুদ পলাশ আপনাকে স্বাগত জানাবে দু হাত ভরে। জেনে নিন, পুরুলিয়ার কোন অংশে বেশি পলাশ দেখা যায়!
2/5 পুরুলিয়ায় যাওয়ার কথা শুনে অনেকেই ভেবে পান না, কোনদিকে যাবেন বরন্তি নাকি অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে। কোনদিকে গেলে বেশি পলাশের রাশি চোখে পড়বে। আমরা আপনাদের বলব, চলে যান বরন্তির দিকে। পলাশ-প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য বললেও ভুল হবে না।
3/5 মার্চ-এপ্রিলে যদি আপনি বরন্তি আসেন, তাহলে অবশ্যই ঢুঁ মারুন ভেটি গ্রামে! দু চোখ, মন ভরে পলাশের যে আস্বাদ আপনি নেবেন, তা সারাজীবন থেকে যাবে আপনার স্মৃতিতে। এই গ্রামে শুধুই পলাশের রাশি। মাঝে মেঠো পথ, আর রাস্তার দু ধারে পলাশ গাছের সারি। সকাল বা সন্ধে কাটানোর এর থেকে ভালো ঠিকানা আর আপনি পাবেন না।
4/5 বরন্তি থেকে বান্দার দেউল যাওয়ার পথেও পাবেন রাস্তার ধারে থাকা সার দিয়ে পলাশের গাছ। গাড়ি থামিয়ে আপনাকে পা রাখতেই হবে লাল মাটিতে। সবচেয়ে ভালো হয়, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে নিলে। কোন মেঠো পথ আপনাকে নিয়ে যাবে সোজা পলাশ বাগানে, তা তাঁরাই ভালো বুঝিয়ে দেবেন। তবে একটাই অনুরোধ, গাছ থেকে পলাশ ফুল পাড়বেন না। গাছের নীচেই পড়ে থাকে ফুল। সেগুলে দিয়ে মালা বানিয়ে পরে নিন হাতে-গলায়। নিয়ে আসতে পারেন সঙ্গে করেও। তবে গাছের ক্ষতি না করাই উচিত।
5/5 তবে বরন্তি গিয়ে শুধু পলাশের মোহে মজে থাকলে হবে না, ড্যামের সৌন্দর্যও কিন্তু মিস করা চলবে না। বিশেষ করে বরন্তিতে সূর্যাস্ত দেখা, এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এছাড়াও বরন্তি থেকে গড় পঞ্চকোট, পাঞ্চেত ড্যাম, মাইথন ড্যাম, কল্যাণেশ্বরী মন্দির, ফুটিয়ারি ড্যাম, তেলকুপিও ঘুরে নিন। দিন ৩ কাটিয়ে আসুন প্রকৃতির কোলে।