যত দিন যাচ্ছে, ক্রমশ ছোট হচ্ছে সদ্যোজাতদের শরীর। এমনই বলছে হালের পরিসংখ্যান। এর স্পষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাননি চিকিৎসক বা বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কয়েকটি কারণ আন্দাজ করেছেন তাঁরা। সেগুলি চিন্তা বাড়িয়েছে সকলের।
বিষয়টি প্রথম টের পাওয়া গিয়েছে কানাডায়। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সদ্যোজাতদের ওজন নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৬০ লক্ষ শিশুর জন্মের সময়ে ওজন মেপে তার তালিকা বানানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে এই ১৬-১৭ বছরে সদ্যোজাতদের গড় ওজন প্রায় ৭৫ গ্রাম কমে গিয়েছে।
পাশাপাশি গর্ভে এই শিশুদের থাকার সময় আবার কিছুটা বেড়েছে। তাতেও অবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে সাত-আট শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে গর্ভের সময়কাল।
কেন এমন হচ্ছে?
স্পষ্ট কারণ না জানতে পারলেও, বিজ্ঞানীরা এই সব শিশুদের বাবা-মায়েদের নিয়েও সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত শিশুদের বাবা-মায়েদের জন্ম দেশের বাইরে, তাঁদের সন্তানদের জন্মানোর সময়ে আকার কিছুটা ছোট হয়েছে, ওজন কম হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি কারণও পাওয়া গিয়েছে, যে সব মায়েদের কিছু শারীরিক সমস্যা আছে, যাঁদের পুষ্টির সমস্যা আছে, যাঁরা তুলনায় বেশি বয়সে মা হচ্ছেন— তাঁদের সন্তানদের মাপও ছোট হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দেখা গিয়েছে প্রথম কারণটিই।
তবে এটি যে শুধু কানাডার সমস্যা নয়, তাও পরিষ্কার। কানাডার দেখাদেখি ২০০০ সালের পরে অন্য কয়েকটি দেশেও একই ধরনের পরিসংখ্যান নেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, আমেরিকা, জার্মানি, জাপানেও একই ঘটনা ঘটেছে। সদ্যোজাতদের আকার ক্রমশ ছোট হচ্ছে।
ভবিষ্যতে এর কেমন প্রভাব পড়তে পারে? মানুষের গড় মাপ কি তবে কমে যাবে? এখনও এর কোনও জবাব দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে মানুষের চেহারায় যে বদল আসতে চলেছে, তার আভাস রয়েছে এই ঘটনায়।