২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে ৮টি কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল পরে মামলা ওঠে নিম্ন আদালতে। তাতে নিম্ন আদালত ওই বৃদ্ধাকে ১০০০ টাকা জরিমানা এবং ১৫ দিনের জেল দিয়েই ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু, নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। বিচার সঠিক ছিল না বলেই সেই সময় দাবি উঠেছিল। এবার কর্ণাটক হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের নির্দেশে করল না। ১ হাজার টাকার বেশি টাকা জরিমানা করতে রাজি হল না কর্ণাটক হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে গ্যাঁজলা, বীরভূমে পরপর ২ দিনে মৃত্যু ১৬ কুকুরের, বিষ দিয়ে খুন?
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই বৃদ্ধা তার বাড়ির কাছে পথ কুকুর নিয়ে খুব বিরক্ত ছিলেন। এদিকে একটি কুকুর আট শাবকের জন্ম দেয়। বৃদ্ধা কুকুরের ওপর বিরক্ত হয়ে ৮ কুকুরছানাকে হত্যা করেছিলেন। ৭২ বছর বয়সি এই বৃদ্ধা নিম্ন আদালতে অপরাধ স্বীকার করেছিলেন। এরপর পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে এক হাজার টাকা জরিমানা ও ১৫ দিন জেল দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। মূলত বয়স এবং অপরাধ স্বীকারের কারণে তার প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছিল আদালত।
এরপর একটি পশুপ্রেমী সংগঠন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি জেএম খাজি বলেন, ‘এটা প্রাসঙ্গিক যে যখন ঘটনাটি ঘটেছিল তখন অভিযুক্তের বয়স ছিল ৬৫ বছর। তিনি দেখেন একটি পথ কুকুর ৮টি শাবক প্রসব করেছে এবং তারা দিনের পর দিন চিৎকার করছে। তাতে বিরক্ত হয়ে তিনি কুকুরছানাগুলিকে অন্য জায়গায় রেখেছিলেন। তবে এর কারণে কুকুরছানাগুলি মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারেনি। শেষে মারা যায়।’ নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলা নিম্ন আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করেছিল। বৃদ্ধাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এবং কারাদণ্ড সহ জরিমানা করেছিল আদালত।
মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, ‘এখন আসামির বয়স প্রায় ৭২ বছর। এই দিকগুলি মাথায় রেখে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না।’ হাইকোর্টের এই রয়ে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট পশুপ্রেমী সংস্থাগুলি। যদি সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তারা ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন কিনা সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।