বয়স হবে ১১৩ ছুঁইছুই। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রবীণ পুরুষ তিনি। কীভাবে এত বছর বেঁচে রয়েছেন জাপানের চিতেতসু ওয়াতানাবে? দীর্ঘায়ুর এই রহস্যই ফাঁস করলেন চিতেতসু। বেশিদিন বাঁচার জন্য চিতেতসু ওয়াতানাবের একটাই ফর্মুলা-হাসতে থাকুন। হ্যাঁ, হাসি-খুশি থাকাই হল তাঁর এই দীর্ঘায়ুর রহস্য।
১৯০৭ সালের ৫ মার্চ টোকিওর উত্তরে অবস্থিত নিগাতায় জন্মছিলেন চিতেতসু ওয়াতানাবে। এখন বয়স ১১২ বছর ৩৪৫ দিন। গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে নিজের শহরেই বুধবার চিতেতসুকে বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষ হিসাবে সম্মানিত করা হল। এর আগে জাপানের মাসাজো নানাকার ঝুলিতে ছিল বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষের রেকর্ড। গত মাসে ১১২ বছর ২৬৬ দিন বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। বর্তমানে বিশ্বের বয়স্কতম মানুষ হলেন ১১৭ বছরের জাপানি মহিলা কানে তানাকা।
ওয়াতানাবের পাঁচ সন্তান রয়েছে। মিষ্টি খেতে প্রচন্ড ভালোবাসেন তিনি এবং সেই মিষ্টি জাতীয় খাবারও কোনও ক্ষতি করে না তাঁর। জাপানিরা বহুদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের বহু বয়স্ক মানুষের ঘর জাপান। এতদিন বাঁচার কারণ হিবাসে তিনি জানান, ‘রাগ করলে চলবে না এবং সবসময় হেসে যেতে হবে’। তিনি বলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েও হাসি থামাননি তিনি। তাই কঠিন পরিস্থিতিতেও হাসতে হবে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশিদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা পুরুষ জিরেইমন কিমুরাও জাপানি। ২০১৩ সালে ১১৬তম জন্মদিন পার করার কিছুদিন পর মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও রেকর্ড অনুসারে আজ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকা মানুষ ফরাসি-জিয়ান্নে লুইস ক্ল্যামেন্ট। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।