প্রতিবছরের মত এবারেও দেশজুড়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, পাড়ায় পাড়ায় পালিত হচ্ছে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বদেশ প্রেমের এক অন্যতম দৃষ্টান্ত হাজির করেছিলেন সুভাষ, তাই তো সংগ্রামের নেতার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন সাথীদের কাছ থেকে। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি বর্তমান ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর পিতা ছিলেন জানকীনাথ বসু এবং মাতা ছিলেন প্রভাবতী দেবী। জানকীনাথ বসু এবং প্রভাবতী দেবীর নবম সন্তান ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তবে মহাত্মা গান্ধী এবং এই দলের অন্য অন্য প্রবীণ নেতা ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ার পর এই পদ থেকে সরে আসেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নেতাজি। ফরওয়ার্ড ব্লক, বামপন্থী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু’র নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে পরবর্তীকালে। আসুন আরও একবার জেনে নেওয়া যাক নেতাজি’র কালজয়ী কিছু বক্তব্য বা উক্তি।
‘স্বাধীনতা কেউ দেয় না, অর্জন করে নিতে হয়।’
‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। শুধুমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা জয়লাভ করা সম্ভব।’
‘শুধুমাত্র চিন্তার জন্য কারও মৃত্যু হতে পারে কিন্তু সেই চিন্তা আজীবন অমৃত থাকে। একজন থেকে আরেকজনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সেই চিন্তা।’
‘টাকা পয়সা দিয়ে কখনও স্বাধীনতা জয় করা যায়না। স্বাধীনতার জন্য দরকার সাহস, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।’
‘ভারত আমাদের ডাকছে, রক্ত দিয়ে রক্তকে ডাকছে, আর সময় নেই অস্ত্র তোলো, ঈশ্বর চাইলে শহিদের মৃত্যু বরণ করে নেব আমরা।’
‘সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নেতাজির বাণী, ‘আমাদের দেশের সকলের সমস্যা হল দরিদ্রতা, রোগ, অশিক্ষা, যে দিন মানুষের সামাজিক চেতনা বোধ হবে সেই দিন এই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।’
‘সর্বদা সত্যতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে হবে।’
‘নিজের প্রতি সৎ হলে সারা বিশ্বের প্রতি কেউ অসৎ হতে পারবে না।’
‘জীবনে প্রগতির আশা ব্যক্তিকে যেকোনও প্রকার ভয় এবং সন্দেহ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।’
‘কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।’
‘যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে, তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।’
‘সত্যান্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকব না বা, থাকা উচিত নয়।’