গণেশ পুজোর বিসর্জনে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০জনের মৃত্যু। তার মধ্যে ১৪জনেরই জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মহারাষ্ট্রের এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শনিবার পুলিশ এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ৩১ অগস্ট থেকে ১০ দিন ব্যপী গণেশপুজোর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। শুক্রবার সেই অনুষ্ঠান শেষ হয়। এরপরই সেই গণেশপুজোর বিসর্জনের অনুষ্ঠানে গিয়ে অন্তত ২০জনের মৃ্ত্যুর বিষয়টি সামনে আসতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওয়ার্ধা জেলায় সাওয়াঙ্গিতে গণেশ ঠাকুর বিসর্জন করতে গিয়ে জলে ডুবে যান তিনজন। একইভাবে দেবলিতেও জলে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইয়াবতমাল জেলায় পুকুরে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারাও গণেশ ঠাকুর বিসর্জন করতে গিয়েছিলেন। আহমেদনগর জেলাতেও সুপা ও বেলবান্দি এলাকায় দুটি আলাদা ঘটনায় দুজনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। জলগাঁও জেলাতেও জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
তবে শুধু জলে ডুবেই নয় গণেশ পুজোর বিসর্জনে গিয়ে পথ দুর্ঘটনাতেও মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। নাগপুর শহরে গণেশ পুজোর বিসর্জনে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন তারা।
অন্যদিকে কোলাবাড় এলাকায় গণেশ পুজোর মণ্ডপের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। তার জেরে মৃত্য়ু হয় ৫৫ বছর বয়সী এক মহিলার। আরও চারজন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, আরতি হচ্ছিল প্য়ান্ডেলে। সেই সময় প্রবল বৃষ্টিও হচ্ছিল। আচমকাই গাছটি ভেঙে পড়ে।
রায়গড় এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে অন্তত ১১জন জখম হয়েছিলেন। বিসর্জন চলাকালীন বিদ্যুতের তারে হাত লাগতেই ছিটকে পড়েন তারা।