ক্রমশই বেড়ে চলেছে জামতাড়া গ্যাংয়ের উৎপাত। ফোন করে নিরীহ মানুষদের বিভ্রান্ত করে তাদের থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে একদল দুষ্কৃতি। এছাড়াও মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করছে অনেকেই। এবার সেই জন্যই এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্য ২.৩ লাখ ফোন নম্বর ব্লক করে দিয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশ। মোট সন্দেহভাজন ২.৬ লাখ ফোন নম্বরের মধ্যে ২.৩ লাখ ব্লক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিকম দফতরের বিশেষ ডিজি গিরিরাজ কুমার মিশ্র। এত বড় আকারে এআই ব্যবহার করে এত ফোন নম্বর বাতিল করার কাজ প্রথমবার হল ভারতে। সাইবার ক্রাইম নিরসনে এই পদক্ষেপ সাহায্য করবে বলেই আশা আধিকারিকদের।
মূলত তিন প্রকার আইডিকে চিহ্নিত করেই প্রাথমিক ভাবে এই কাজ শুরু করে পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রে আইডি এক কিন্তু ছবি ভিন্ন, অনেক ক্ষেত্রে ছবি প্রায় এক কিন্তু আইডি ভিন্ন ও কিছু ক্ষেত্রে যেখানে অন্যের আইডি ও ছবি দেওয়া হয়েছে সিম নেওয়ার সময়। ৩৫০ এজেন্টের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে যারা সিম দেন। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯০৪ এজেন্টের সিম দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে মোবাইল সংস্থাগুলি। এর মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ এজেন্ট বিহারের। যেসব ফোন নম্বর বাতিল করা হয়েছে, তারও প্রায় ৮৭ শতাংশ বিহারের, বাকিগুলি ঝাড়খণ্ডের।
প্রসঙ্গত, গত অগস্ট অবধি উপলব্ধ ডেটা বিশ্লেষণ করে টেলিকম দফতর ০.৩৮ শতাংশ কানেকশন সন্দেহজনক বলে রায় দেয়। তবে এর মধ্যে ৩০ হাজার নম্বর জেনুইন কাস্টমারদের কাছে ছিল। বাকিদের নম্বর ডিলিট করে দেওয়া হয়। আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক ব্যক্তি ৬৯০০টি ফোন নম্বর নিয়ে বসেছিলেন আরেকজনের কাছে ছিল ৫২০০ নম্বর। সবমিলিয়ে সারা দেশ জুড়ে ৩৬ লাখ সন্দেহজনক মোবাইল কানেকশন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সঞ্চার সাথী বলে নতুন একটি পোর্টালের উদ্বোধনে তিনি এই কথা বলেন। এই পোর্টালের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়া যাবে,কোনও ডিভাইস জেনুইন কিনা সেটা যাচাই করা যাবে ইত্যাদি। বর্তমানে ভারতে প্রায় ১১৭ কোটি মোবাইল কানেকশন আছে বলে জানিয়েছে ট্রাই।