ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। আর এবার ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলার দিন আর বেশি দূরে নেই। সূত্রের খবর, ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ে বিএসএফের বাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ৩০০০ বিএসএফ যাবে ছত্তিশগড়ে। সেই সঙ্গেই আইটিবিপির সমান সংখ্য়ক ইউনিট যাবে ছত্তিশগড়ে। লক্ষ্য একটাই, এলাকা থেকে মাওবাদীদের নাম নিশানা মুছে ফেলা।
এদিকে এর আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, দেশ থেকে অতিবাম শক্তিকে মুছে ফেলা হবে। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে বিএসএফের রেজিং ডে-তে তিনি একথা জানয়েছিলেন। বিএসএফ , সিআরপিএফ ও আইটিবিপি এনিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিএসএফকে বলা হয়েছে, ৬টি নতুন কোম্পানি অপারেটিং বেস করা হবে নারায়ণপুর জেলায়। বিএসএফ সোর্স জানিয়েছে পিটিআইকে।
ইন্দো তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশ ছত্তিশগড়ের একাধিক পয়েন্টে মোতায়েন করা আছে। নারায়ণপুর জেলায় প্রায় ৪০০০ বর্গ কিমি এলাকায় জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নকশালদের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে অভিযান চালানোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অবুঝমাদ এলাকায় বিস্তীর্ণ জঙ্গল রয়েছে। সেখানে ২৩৭টি গ্রামও রয়েছে। বেশিরভাগই আদিবাসীদের বাস। সেখানে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের পুলিশ ক্যাম্প নেই। এখানে ছত্তিশগড়-ওড়িশা সীমান্ত দিয়ে মাওবাদীরা আসে। তারা এখানে ট্রেনিং চালায়।
বস্তার, সুকমা, দান্তেওয়াড়া এলাকায় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে এখনও। তবে এবার সেই মাওবাদীদের দমন করতে একেবারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাহিনী। একদিকে মাওবাদীদের দমন ও এলাকার উন্নতির জন্য চেষ্টা চালানো হবে। দক্ষিণ বস্তার এলাকায় ছত্তিশগড়-ওড়িশা সীমান্তে বিএসএফ ও আইটিবিপির আরও দুটি ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করার ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে।
এক নিরাপত্তা আধিকারিকের মতে, মাওবাদীরা ছত্তিশগড় থেকে ওড়িশা যাওয়ার জন্য বস্তারের রুটটা ব্যবহার করে। মালকানগিরি, কোরাপুট এলাকার উপর দিয়ে যায় তারা। আর সেখানেই সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
অপর এক আধিকারিকের কথায়, প্রায় ৮০০-৯০০ ক্য়াডার সক্রিয় রয়েছে। ওড়িশায় তাদের হাতে মাত্র ২৪২জন অ্য়াকটিভ ক্যাডার রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ১৩জন হলেন ওড়িশার। বাকিরা সবাই ছত্তিশগড়ের।