আজ সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লির বিজয় চকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। দেশের এই বিশেষ বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে প্রতিধ্বনিত হবে 'শঙ্খনাদ', বাঁশির মতোই একাধিক স্বদেশি সুর। রাইসিনা হিলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সামনে সঙ্গীতানুষ্ঠানটি শুরু হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতীয় নৌবাহিনী, ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) এর মিউজিক্যাল ব্যান্ডগুলি ৩১ ধরনের ভারতীয় সুর বাজবে।
গত ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড চলাকালীন কার্তব্য পথেও ১০০ জন মহিলা শঙ্খ বাজিয়ে শুরু করেছিলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন। এছাড়াও বেজেছিল অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় যন্ত্রও। এবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও এই একই পরিকল্পনা কেন্দ্রের। উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
- শঙ্খনাদ'-এর সুর দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে
'শঙ্খনাদ' বাজিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠানটি। তারপরে পাইপ ও ড্রামস বাজিয়ে শোনানো হবে 'বীর ভারত', 'সঙ্গম দরজা', 'দেশ কা সারতাজ ভারত', 'ভাগীরথী' এবং 'অর্জুন'-এর মতো মন্ত্রমুগ্ধ সুর। CAPF ব্যান্ড 'ভারত কে জওয়ান' এবং 'বিজয় ভারত'-এর সঙ্গে অন্যান্য উত্সাহী গানও বাজবে৷ ভারতীয় বিমান বাহিনীর ব্যান্ড দ্বারা বাজানো সুরগুলির মধ্যে থাকবে 'টাইগার হিল', 'রাইজে ইন রাইসিনা' এবং 'স্বদেশী'। দর্শকরা এদিন ভারতীয় নৌবাহিনীর ব্যান্ডকে 'আইএনএস বিক্রান্ত' সহ বেশ কয়েকটি সুর বাজানো দেখতে পাবেন। এছাড়াও বাজবে 'মিশন চন্দ্রযান', 'জয় ভারতী' এবং 'হাম রেডি হ্যায়'। এর পরে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যান্ড 'ফৌলাদ কা জিগার', 'অগ্নিবীর', 'কারগিল 1999', 'তাকাত ওয়াতান' এবং অন্যান্য গানগুলি বাজাবে। সম্মিলিত ব্যান্ডটি 'কদম কদম বাধায়ে জা', 'অ্যায় মেরে ওয়াতান কে লগন' এবং 'ড্রামারস কল'-এর সুরও শোনা যাবে। অবশেষে 'সারে জাহান সে আচ্ছা'-এর জনপ্রিয় সুর দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানের প্রধান সংগঠক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুবিমল যোশী। এছাড়াও আর্মি ব্যান্ডের কন্ডাক্টর হবেন সুবেদার মেজর মতি লাল, এম এন্টনি এবং ওয়ারেন্ট অফিসার অশোক কুমার যথাক্রমে ভারতীয় নৌ ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কন্ডাক্টর হবেন। সিএপিএফ ব্যান্ডের কন্ডাক্টর হবেন কনস্টেবল জিডি রানীদেবী। সুবেদার মেজর রাজেন্দর সিংয়ের নির্দেশে পাইপ এবং ড্রামস ব্যান্ড বাজবে।
- বিটিং রিট্রিট মানে কী?
উল্লেখ্য, বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানটি একটি শতাব্দী-প্রাচীন সামরিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করে। যখন সূর্যাস্তের সময় সৈন্যরা যুদ্ধ বন্ধ করে, অস্ত্র ও যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে ক্যাম্পে ফিরে যেতেন, দেশের পতাকা নীচে নামিয়ে আনা হত, সেই মুহূর্তেরই প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানটি। এককথায়, অতীতের নস্টালজিয়া যাকে বলে।