মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য এল মহারাষ্ট্রে। তেলাঙ্গানার সীমান্তবর্তী কোলামার্কা পাহাড়ে অন্তত চার সন্দেহভাজন মাওবাদীকে খতম করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। মৃতদের মধ্যে দু'জন নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র উচ্চস্তরীয় বিভাগীয় কমিটির সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। নাগপুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে গাদচিরোলি জেলায় এই অপারেশন চালানো হয়। গাদচিরোলির পুলিশ সুপার, নীলোৎপল জানিয়েছেন যে এনকাউন্টারে নিহত মাওবাদীদের সমল্লিত মাথার দাম ছিল ৩৬ লাখ টাকা। (আরও পড়ুন: বাংলার ডিজিপি হয়েছেন বিবেক, তাঁর দাদা বিকাশ সহায়ও ডিজিপি অন্য এক রাজ্যে!)
আরও পড়ুন: 'বাংলায় বিজেপিকে ফিরতে দিয়েছে তৃণমূলই', মমতার দলকে নিয়ে বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে তারা সোমবার বিকেলে গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে কোলামার্কা পাহাড়ে বাহিনী পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা জানতে পারেন, কয়েকজন অতি-বামপন্থী তেলাঙ্গানা থেকে গদচিরোলিতে প্রবেশ করেছে। প্রাণহিতা নদী পেরিয়ে তারা মহারাষ্ট্রে আসে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধির মধ্যেই নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর লক্ষ্যে তারা মহারাষ্ট্রে এসেছিল। (আরও পড়ুন: 'উঠোনে বসে যদি চিন খেলে...', মলদ্বীপে বেজিংয়ের প্রভাব বাড়তেই শতর্কবাণী CDS-এর)
পুলিশ সুপার বলেন, 'মাওবাদীদের রাজ্যে প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করার পরই আমরা অবিলম্বে পুলিশের একাধিক দল গঠন করি। কমব্যাট অভিযানে অভিজ্ঞদের নিয়ে সেই দল গঠন করা হয়। পাশাপাশি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কুইক অ্যাকশন টিমও এই অভিযানে সামিল হয়। এই দলগুলিতে তেলাঙ্গানার সীমান্তবর্তী এলাকায় তল্লাশির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই দলগুলির মধ্যে একটি ছিল এলিট অ্যান্টি-নক্সাল স্কোয়াড সি-৬০। তারা রেপনপল্লীর কাছে কোলামার্কা পাহাড়ে গিয়েছিল। এই দলটি পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ করলে মাওবাদীরা তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জবাবে নিরাপত্তাকর্মীরাও পালটা গুলি চালায়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার ভোরে মাওবাদীদেক খতম করা হয়। ভোরে প্রায় দুই ঘণ্টা এই গুলির লড়াই চলেছিল।'
পুলিশ সুপার জানান, গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে দলটি সেই এলাকায় তল্লাশি চালায়। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, একটি কারবাইন, দুটি দেশি পিস্তল এবং সিপিআই (মাওবাদী)-র বই পাওয়া যায়। এছাড়াও আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ মেলে সেখান থেকে। এছাড়া চারটি পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশ সন্দেহ করছে যে এনকাউন্টারের পরে কয়েকজন মাওবাদী এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। এই আবহে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মৃত, সন্দেহভাজন মাওবাদীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নাম ভার্গেশ, মাগতু - উভয় সিপিআই (মাওবাদী) এর বিভিন্ন বিভাগীয় কমিটির সেক্রেটারি। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে মাওবাদী প্লাটুন সদস্য কুরসাং রাজু এবং কুদিমেত্তা ভেঙ্কটেশের।