সরকার চাইলে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ও টিকটককে জানাতে হবে ব্যবহারকারীর পরিচয়। নাম লুকিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকার দিন শেষ। এমনই প্রস্তাব কেন্দ্রের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া বিলের যা কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ্যে আসবে বলে ব্লুমবার্গের রিপোর্ট। সরকার বললেই সংস্থাদের পরিচয় ফাঁস করতে হবে। এর জন্য কোনও ওয়ারেন্ট বা আদালতের অর্ডার লাগবে না।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সংক্রান্ত খসড়া বিল প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। তখন গুগল, অ্যামাজন. ফেসবুক প্রভৃতিএর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক খসড়া বিলে তেমন কোনও পরিবর্তন করেনি।
খসড়া বিল অনুযায়ী সরকার তথ্য চাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেটি দিতে হবে। সমস্ত তথ্য ১৮০ দিন অবধি স্টোর করে রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাদের। বর্তমানে ভারতে প্রায় ৫০ লক্ষ লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় আছেন। এর সঙ্গে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এদের প্রত্যেকের বিষয় প্রয়োজনে সরকার তথ্য নেবে সংস্থাদের থেকে। এর আইনি ভিত্তি হবে নয়া আইন।
তবে হোয়াটসঅ্যাপ এখনও অনড় যে তারা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে, তাই গ্রাহকদের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সারা বিশ্ব জুড়েই টেক সংস্থাদের সঙ্গে আইন রক্ষাকর্তাদের এই বিষয় সংঘাত চলছে। দেশের নিরাপত্তার বনাম ব্যক্তির স্বাধীনতা, এর ঠিক-ভুল নিয়েই বিশ্বব্যাপী চর্চা চলছে। কিন্তু ভারতে যে নিয়ম আসতে চলেছে, তা হলে কার্যত শিকেয় উঠবে প্রাইভেসি, এমনই আশঙ্কা অনেকের।