চিনা টিকটকের পালটা 'মিঁত্রো' অ্যাপ বানিয়ে ফেললেন আইআইটি রুরকির পাঁচ প্রাক্তনী। ইতিমধ্যে গুগল প্লে স্টোরে সেই অ্যাপটি শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দু'মাসের কম সময়ে ৫০ লাখ ডাউনলোডের নজির গড়ে ফেলেছে নয়া অ্যাপ।
টিকটকের ধাঁচে ভিডিয়ো তুলে এডিট এবং বিভিন্ন প্রকারভেদ যোগ করা অ্যাপটি গত ১১ এপ্রিল লঞ্চ হয়েছে। অ্যাপের কোর ডেভেলপার শিবঙ্ক আগরওয়াল জানান, মূল চিন্তাভাবনাটা ছিল যে টিকটক এবং অন্যান্য বিদেশি ভিডিয়ো শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের একটি দেশীয় প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। সেইমতো অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।
তবে যে হারে 'মিঁত্রো' ডাউনলোডের হিড়িক পড়েছে, তাতে কিছুটা অবাকও শিবঙ্ক। যিনি ২০১১ সালে আইআইটি রুরকি থেকে পাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'লঞ্চের সময় অ্যাপের সাফল্যের বিষয়ে আমরা বেশ আশাবাদী ছিলাম। তবে দু'মাসেরও কম সময়ে এরকম ভালোবাসা এবং ৫০ লাখের বেশি ডাউনলোড আমাদের কাছে আশীর্বাদ। মানুষের প্রশংসা ও প্রতিক্রিয়া আমাদের আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে যে অ্যাপটিকে বিশ্বের এই ধরনের অ্যাপের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা এটার হিন্দিতে নামকরণ করেছি, কারণ আমরা এই ভারতীয় অ্যাপের একটি পৃথক পরিচয় গড়ে তুলতে চেয়েছি।'
বি.টেক পড়ুয়া বৈভব রাওয়াতের দাবি, অন্যান্য অ্যাপের মতো বিভিন্ন ফিচার্স তো রয়েছেই, 'মিঁত্রো'-তে নতুনত্ব কিছু বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। তবে জাতীয়তাবাদকেই হাতিয়ার করে যে দেশীয় অ্যাপের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তা কার্যত বলে দিয়েছেন বৈভব। তিনি বলেন, ‘যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে চিন অযাচিতভাবে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, তখন আমাদের অবশ্যই টিকটককে গুডবাই জানানো উচিত। কারণ আমাদের এখন মিঁত্রো অ্যাপ রয়েছে। যা মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন।’
তবে স্বল্প সময়ে হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়লেও 'মিঁত্রো'-র ডেভেলপারদের কিছুটা সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যাপ-সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ আকাশ ওহরি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত স্বদেশি আগ্রহ ওবং চাহিদা রয়েছে। তবে ওঁরা যদি বাগ ঠিক না করে এবং আরও উদ্ভাবন না করে তাহলে এত কম সময়ে ওঁরা যে অভাবনীয় বৃদ্ধি দেখেছেন, তা বজায় রাখা সহজ হবে না।’