বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > এবার কোভিড হানা মুসৌরির আইএএস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, আক্রান্ত ৫৭ জন হবু অফিসার

এবার কোভিড হানা মুসৌরির আইএএস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, আক্রান্ত ৫৭ জন হবু অফিসার

মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনস্ট্রেশন-এ মোট ৫৭ জন শিক্ষানবিশ আধিকারিকের কোভিড সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

সংক্রমণের কারণে সমস্ত রকম কাজ ৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

করোনাভাইরাসের হানায় বিপাকে মুসৌরির আইএএস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। গত ২ দিনে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনস্ট্রেশন-এ মোট ৫৭ জন শিক্ষানবিশ আধিকারিকের কোভিড সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

শনিবার প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনস্ট্রেশন-এ মোট ৫৭ জন শিক্ষানবিশ আধিকারিকের কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। সিভিল সার্ভিসে প্রবেশকারীদের জন্য আবশ্যিক ৯৫তম ফাউন্ডেশন কোর্স করতে ক্যাম্পাসে বর্তমানে মোট ৪২৮ জন শিক্ষানবিশ আধিকারিক রয়েছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরওএ বলা হয়েছে, ‘রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসরণ করে সংক্রমণের ধারাবাহিকতা ভাঙার উদ্দেশে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠান। সংক্রমিত সমস্ত শিক্ষানবিশ আধিকারিকদের প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোভিড কেয়ার সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় গত ২০ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৬২ এর বেশি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে।’

সংক্রমণের কারণে প্রশিক্ষণ-সহ সমস্ত রকম কাজ ৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে করার নির্দেশ জারি করেছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। 

শনিবার উত্তরাখণ্ডে ৫৮৫টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে, যার জেরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত ৭০,৮৬৩। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের জেরে ৮টি মৃত্যুর কারণে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১,১৪৬।

রাজ্যের ৭০,৮৬৩ করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যে ৬৪,৮৫১ রোগী সুস্থ হয়েছেন, যার ফলে সুস্থতার হার এখন ৯১.৬১%। রাজ্যের পজিটিভ রোগীর হার আপাতত ৫.৭৩%। 

গতকাল সন্ধান পাওয়া কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ২১০ জন দেরাদুন জেলার বাসিন্দা। সবচেয়ে কম সংক্রমিত হয়েছেন চম্পাওয়াত জেলার মানুষ। সেখানে গতকাল মাত্র ৫জন কোভিড রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে। 

এ পর্যন্ত মোট ১২.৩৬ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের মধ্যে ১৭,৫০০ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট বকেয়া রয়েছে। 

বন্ধ করুন