বাংলাদেশে একটা কথার খুব প্রচলন রয়েছে। সেটা হল—‘আমারে দাবায় রাখা যাবে না’। এবার সেটাই যেন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চলেছে। কারণ এই বছরই বাংলাদেশে চালু হয়ে যাচ্ছে ফাইভ–জি পরিষেবা। আর দু’মাস পর ডিসেম্বর মাসেই পদ্মাপারে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে বলে এই ইন্টারনেট পরিষেবা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওপার বাংলায় উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে বিজয় দিবস পালিত হবে। আর সেই দিন থেকেই ফাইভ–জি পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার।
কয়েকদিন আগে ‘ফাইভ–জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনাসভায় বিষয়টি সামনে আনেন বাংলাদেশের টেলিযোগযোগ মন্ত্রী। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ দফতর সূত্রে খবর, শুরুতে রাজধানী ঢাকার ২০০টি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে। ঢাকার গণভবন, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ থানা–সহ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাকে এই পরিষেবার আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অবশ্য বলেন, ‘২০২২ সালে ফাইভ–জি পরিষেবা সম্প্রসারণ করা হবে। অন্য মোবাইল অপারেটররাও যাতে ফাইভ–জি চালু করতে পারে তাই নিলামের আয়োজন করা হবে।ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় যাতে ফাইভ–জি পরিষেবা বেশি করে কাজে লাগে সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে।’
জানা গিয়েছে, পদ্মাপারে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। এখন অনেকেই প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে গিয়েছেন। তার সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে গোটা দেশ পিছিয়ে যাবে। তাই ডিজিটাল ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। যার মধ্যে আবার ২৮ শতাংশ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাই ডিজিটাল পথে এগিয়ে যেতেই উদ্যোগ নিচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার।