রাজধানীর চকবাজারে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদফতর; জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা৷ পলিথিনের শপিং ব্যাগ আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, মজুদ, পরিবহন-সবই নিষিদ্ধ৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে সোমবার চকবাজারের রহমতগঞ্জ এলাকায় পলিথিন তৈরির কারখানায় ওই অভিযান চালানো হয়৷ এছাড়া সংরক্ষণ করা পলিথিনও জব্দ করা হয়৷
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. রেজুওয়ান ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে মো. রোমান মিয়ার কারখানা থেকে ৫০০ কেজি পলিথিন এবং পলিথিন তৈরির রোল বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ ওই কারখানার মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷
একই ভবনে আকরম হোসেনের কারখানা থেকে ২ হাজার ৫০০ কেজি পলিথিন বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই দুই কারখানায় পলিথিনের শপিং ব্যাগ তৈরি হত, যা নিষিদ্ধ৷ এছাড়া রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের কাছে হাজী মো. শফি মাহমুদ নামের এক ব্যক্তির মজুদ থেকে থেকে ১ হাজার ৫০০ কেজি পলিথিন বাজেয়াপ্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ সেখানে মো. সবুজ মিয়াও পলিথিন সংরক্ষণ করেছিলেন৷ তার কাছ থেকে থেকেও ১ হাজার ৫০০ কেজি পলিথিন জব্দ করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত৷
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিনের শপিং ব্যাগ বা অন্য যে কোনও সামগ্রী, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, সেসব উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, পরিবহন ইত্যাদি নিষিদ্ধ৷ পলিথিন তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷' পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকার মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর দুই পরিদর্শক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও মো. লাবলু মিয়া৷