করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেল কেন্দ্র সরকার ও সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির বৈঠক। বকেয়া ডিএ-র দেওয়া ও সেটেলমেন্ট নিয়ে আলোচনা পিছিয়ে গেল আরও কয়েকদিন।
মহার্ঘ্য ভাতা আগামী ১ জুলাই থেকে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল। তবে বকেয়া ডিএ-এর শেষ তিনটি কিস্তির (1-1-2020, 1-7-2020, এবং 1-1-2021) সেটেলমেন্টের সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি। ফলে এটি কেন্দ্রীয় কর্মীদের পক্ষে বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহার্ঘ্য ভাতা আবারও চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন এক লাফে অনেকটাই বাড়তে পারে। ফলে, এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সরকারি কর্মীদের সংগঠন।
জাতীয় সিনিয়র কাউন্সিলের জিসিএম, ব্যক্তিগত ও প্রশিক্ষণ অধিদফতর এবং অর্থ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা সপ্তম বেতন কমিশন সম্পর্কিত সমস্যার বিষয়ে কর্মীদের মতামত গ্রহণ করেছেন। আগামী ৮ মে কর্মী সংগঠনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু করোনার কারণে বৈঠক মে মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তাবিত বৈঠকের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিক শিব গোপাল মিশ্র বলেছেন, 'জেসিএমের জাতীয় কাউন্সিল, প্রশিক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা এবং অর্থ মন্ত্রক মহার্ঘ্য ভাতার স্থগিত কিস্তির বিষয়ে আলোচনা করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার আধিকারিকরা এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন। করোনার কারণে যদিও বৈঠকটি পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। আগামী ৮ ই মে-র বদলে বৈঠকটি এখন মে মাসের শেষে হবে। '
ঠিক কোন বিষয়ে এই বৈঠকে প্রাধান্য দেওয়া হবে? এ প্রসঙ্গে শিব গোপাল মিশ্র জানান, 'তিনটি স্থগিত কিস্তিই এই সভার মূল এজেন্ডা।' এই সমস্যার সুরাহা হলে দেশের ৫২ লক্ষ কর্মচারী সুবিধা লাভ করবেন। পাশাপাশি ৬০ লক্ষ পেনশনভোক্তারাও এই সুবিধা পাবেন।