জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের (ZEEL) প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সুভাষ চন্দ্র মঙ্গলবার একটি খোলা চিঠি দেন। তাতে তিনি জানান, তাঁর সামগ্রিক ঋণের আর মাত্র ৮.৮% নিষ্পত্তি করা বাকি। ইতিমধ্যেই ৯১% বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অবশ্য একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, এক ঋণদাতার সঙ্গে আদালতে বিরোধ বিচারাধীন রয়েছে। ফলে সেটির সমাধানের জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে।
'আনন্দের সঙ্গে জানাই যে, আমরা আমাদের মোট ঋণের ৯১.২% ঋণদাতাদের ১১০টি অ্যাকাউন্টে নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। ফলে সেই আর্থিক চাপের পরিস্থিতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। ৮৮.৩% অর্থ প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২.৯% মেটানোর কাজ চলছে। মোট ঋণের বাকি ৮.৮% নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছি,' চিঠিতে বলেন সুভাষ চন্দ্র।
এদিন ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাঁর প্রথম চিঠির কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে তিনি ঋণ পরিশোধ মিস হওয়ার কথা স্বীকার করেছিলে। সেটারই উল্লেখ করে সুভাষ চন্দ্র জানান তিনি ঋণদাতাদের কাছে 'কীভাবে' এবং 'কেন' এমনটা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
সুভাষ চন্দ্র বলেন, তাঁর গ্রুপ ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো, আর্থিক পরিষেবা, প্রিন্ট মিডিয়া, গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি, যেমন, জি লার্ন লিমিটেড, সিটি নেটওয়ার্কস লিমিটেড এবং জি মিডিয়া কর্পোরেশন এবং কিছু অন্যান্য ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে বা বিক্রি করে দিয়েছে। 'আমার ভাই জওহর গোয়েলের সংস্থা, ডিশ টিভি ইন্ডিয়া লিমিটেডও আমার কারণে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। সংস্থাটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে আমি তার এবং তার পরিবারের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছি।
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'ডিজিটাল স্পেসে ভিডিয়ো, ভিডিও স্পেসে এআই/এমএল (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং) ইত্যাদি ক্ষেত্রে ZEEL-এর সঙ্গে কোনও বিরোধ ছাড়াই নয়া ব্যবসার বিষয়ে ভাবছেন তিনি।'