প্রায় সব ধর্মেই বিয়েকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটিকে একটি অটুট সম্পর্ক হিসাবেই দেখা হয়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কে ফাটল যদি সীমানা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে তার পরিণতি দেখা যায় বিবাহ বিচ্ছেদের আকারে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শুনানি হতে চলেছে যে, কোনও একটি পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতেও বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করা যায় কি না।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মামলা পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাধারণত যখন স্বামী বা স্ত্রী বা উভয়ের পক্ষ থেকে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা হলে তখন উভয়কে ৬ থেকে ১৮ মাস সময় দেওয়া হয়। উভয় পক্ষ যাতে একে অপরকে আবার বুঝতে পারে তার জন্য এই সময় দেওয়া হয়।এই ইস্যুতে, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, ‘আমরা মনে করি যে আরেকটি প্রশ্ন যা বিবেচনা করা দরকার তা হল ভারতের সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে ক্ষমতা সেই পরিস্থিতিতে কোনওভাবে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে কিনা।’ সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি ২৮ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য স্থগিত করেছে। এ বিষয়ে বরিষ্ঠ আইনজীবী ভি গিরিকে আদালত বান্ধব হিসেবে নিয়োগ করেছে শীর্ষ আদালত।
বেঞ্চ জানায়, ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে আদালতের অসাধারণ ক্ষমতা সাধারণত ব্যবহার করা হয় যখন উভয় পক্ষই বিবাহ বিচ্ছেদ করতে সম্মত হয়। তবে যদি একটি পক্ষ বিপক্ষে থাকে তাহলে কী হতে পারে! সে বিষয়ে খতিয়ে দেখবে আদালত। বেঞ্চের মতে, যেহেতু সর্বসম্মত ক্ষমতা শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া হয়েছে। তাই এমন একটি মামলায় সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে কিছু নির্দেশিকা, পদ্ধতি বা বাধা থাকা উচিত কিনা তা খতিয়ে দেখবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।