সমলিঙ্গ বিবাহকে কি বৈধতার আখ্যা দেওয়া যাবে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই সংক্রান্ত মামলাগুলি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হল। এর আগে, হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সমলিঙ্গের বিবাহে বিরোধিতা রয়েছে তাদের। এরপরই আসে সোমবার 'সুপ্রিম' পদক্ষেপ। আগামী ১৮ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে।
সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আসা মামলাগকে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এর আগে, সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে হলফনামা দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র জানায়, সামাজিক কারণে এই বিয়ে নিয়ে তারা আপত্তি জানাচ্ছে। যদিও সোমবার এই বিষয়কে মৌলিক গুরুত্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেছে আদালত। উল্লেখ্য, সমকামী সম্পর্কের নিরিখে ২০১৮ সালেই এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে আদালত। সেই বছর ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সমকামী সম্পর্ককে অপরাধ নয় বলে ঘোষণা করেছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, তাহলে ভারতের বুকে কি এবার বৈধতা পাবে সমকামী বিবাহ? সেই প্রশ্নকে সামনে রেখেই আগামী ১৮ এপ্রিল হাইভোল্টেজ শুনানি হতে চলেছে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। উল্লেখ্য এই ইস্যুতে দাবি উঠছে, বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় যাতে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে জমা পড়েছে পিটিশন। গুজরাট, কেরল, দিল্লি হাইকোর্টে জমা পড়েছে পিটিশন। (ছুরি, তলোয়ার নিয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা! ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে সরব খোদ মুখ্যমন্ত্রী)
( 'ডিক্টেটরের মতো...' মোদীকে তোপ খাড়গের, উঠল দ.কোরিয়া, চিনে ভাষণ প্রসঙ্গ)
এদিকে, এই ইস্যুতে জমা পড়তে থাকা একাধিক পিটিশনের নিরিখে কেন্দ্রের মতামত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তখনই এক হলফনামা জারি করে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতীয় পরিবারের ধারণার সঙ্গে সমলিঙ্গ বিবাহের পরিবারের ধারণার তুলনা হয়না। সামাজিক দিক থেকে ভারতীয় পরিবারের ধারণায় স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের কথা বলা হয়, বলে হলফনামায় জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র কার্যত স্পষ্ট করে দেয় যে, সামাজিক কারমেই তারা এই বিবাহের বিরোধিতা করছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup