বাবার সঙ্গে মেয়ের মুখের একটুও মিল নেই। তাই বাবার সন্দেহ ছিল সেই মেয়ে তার নিজের নয়। নিশ্চয় তার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহের জেরেই স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার খান্দাওয়ালি এলাকার। খুন করার পরে রাজ্যের অন্য জেলায় পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত মনমোহন সিং। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যুবক খুনে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি, পথ অবরোধ বিজেপির
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মনমোহন সিং তার স্ত্রী মমতা (২৫) এবং কন্যা সৌম্যকে (১) খুন করেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় খান্দাওয়ালি থানার একটি পুলিশ মামলা রুজু করে। পুলিশ সুপার সত্যজিৎ গুপ্ত জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে। জেরায় সে জানিয়েছে, তার সন্দেহ ছিল যে তার কন্যা সন্তানের মুখ তার সঙ্গে মিলছে না তাই ওই সন্তান অন্য কারোর। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেই সন্দেহে অবশেষে স্ত্রী ও মেয়ে দু জনকেই খুন করে মনমোহন।
অন্যদিকে, গাজিয়াবাদের মাসুরি শহরে ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে তার স্বামী খুন করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম শাদাব। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাদাব তার পাঁচ বছরের মেয়ে সাবাকে একটি বিছানার চাদর আনতে বলেছিল। কিন্তু সে খেলায় ব্যস্ত থাকায় তা আনেনি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে শাদাব তার মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় তার স্ত্রী শাবানা তাকে বাধা দিলে ছুরি দিয়ে আঘাত করে শাদাব। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।