সংবাদসংস্থা এনডিটিভির অংশীদারিত্ব কিনে নেওয়ার দিকে এগোচ্ছেন গৌতম আদানি। এদিকে তাঁর এই অধিগ্রহণ রুখে দিতে চাইছে এনডিটিভি। সংস্থার অভিযোগ, এনডিটিভির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির নিয়ম লঙ্ঘন করছে আদানি গোষ্ঠী। তবে এনডিটিভির অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর সেবি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এই লেনদেনে কোনও বেনিয়ম ছিল না। এনডিটিভির অভিযোগের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ভাবে সেবি আদানি গোষ্ঠীর লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেবির বক্তব্য, এনডিটিভির শেয়ার আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতেই পারে সংবাদসংস্থার প্রমোটর সংস্থা আরআরআর হোল্ডিং।
উল্লেখ্য, পরোক্ষভাবে ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে গৌতম আদানির মালিকাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেড। পরবর্তীতে ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এনডিটিভির নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে আদানির হাতে। মোট ৪৯৫ কোটি টাকায় এনডিটিভির ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন আদানি।
যদিও আদানি গোষ্ঠীর তরফে এনডিটিভির শেয়ার কেনার পর সংস্থার তরফে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। এনডিটিভির তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কোনওরকম আলোচনা, সম্মতি ছাড়াই এনডিটিভির ২৯ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছে গৌতম আদানির মালিকাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেড। প্রসঙ্গত, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) নথিভুক্ত আরআরআরআরের হাতে এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার ছিল। সেই সংস্থার ৯৯.৯ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার কিনে নেয় এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেডের অধীনস্থ বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড। শেয়ার পিছু ২৯৪ টাকা দরে আরআরআরআর থেকে এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ মালিকানা কেনে আদানির সংস্থা। ২০০৯-১০ সালে এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা রাধিকা এবং প্রণয় রায়ের সঙ্গে ঋণ চুক্তির ভিত্তিতে বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড এই অধিগ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এনডিটিভি বলে, তাদের প্রতিষ্ঠাতা প্রণয় এবং রাধিকা রায়ের উপর ২০২০ সাল থেকে ভারতের সিকিউরিটিজ মার্কেটে শেয়ার কেনা বা বিক্রি করায় নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। তাই আদানি গোষ্ঠীর কাছে তাঁরা কোনও শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবেন না। এর আগে ২০২০ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার আদেশে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রণয় ও রাধিকা রায় ভারতীয় শেয়ার বাজারে লেনদেন করতে পারবেন না। এর ভিত্তিতেই এনডিটিভির তরফে আদানির শেয়ার কেনার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। তবে সেই আপত্তিতে কোনও কাজ দিল না।