নতুন রূপে ফিরছে জেট এয়ারওয়েজ। আর তার আগে 'মানবিক স্পর্শে'র মন্ত্রের পাঠ দিলেন সিইও সঞ্জীব কাপুর। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সেরা অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও আইটি সিস্টেম এবং পরিষেবা থাকবে জেট এয়ারওয়েজে। কিন্তু কর্মীরা যেন 'হিউমান টাচ'-এর গুরুত্বটা ভুলে না যান। অর্থাত্ সবার উপরে মানুষের আবেগের দিকে নজর দিতে বললেন তিনি।
কর্মচারীদের পাঠানো ইমেলে তিনি বলেন, 'মানুষের আবেগ কিন্তু প্রযুক্তি দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে প্রতিস্থাপিত হতে পারে না। তাই এটাকে সর্বদা ব্যাকআপ হিসাবে থাকতে হবে। বিশেষ করে বিরূপ পরিস্থিতিতে সেটা খাটাতে হবে।'
জেট এয়ারওয়েজ তার এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (AOC) পাওয়ার পরেই বিমানের অর্ডার ঘোষণা করবে, উল্লেখ করা হয়েছে সঞ্জীব কাপুরের ইমেলে।
৫ মে, জেট এয়ারওয়েজ, AOC পাওয়ার জন্য হায়দরাবাদ থেকে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চালিয়েছিল। সম্ভবত আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে পুরোদমে চালু হতে পারে।
জেট এয়ারওয়েজ লঞ্চ: ১০টি নীতিতে জোর সিইও-র
সিইও সঞ্জীব কাপুর তাঁর ইমেলে, কর্মীদের জন্য ১০টি নীতি তালিকাভুক্ত করেছেন।
একটি এয়ারলাইন হিসাবে, তাঁদের কাছে নিরাপত্তাই সর্বাগ্রে। তাই, শর্ট-কাট বা আপসের জন্য কোনও জায়গা থাকবে না।
কমন সেন্স, মূল্যবোধ এবং নীতিবোধই জেট এয়ারওয়েজকে গাইড করবে। কোনও থিওরির বই নয়।
কোম্পানির সংস্কৃতি হবে ভালোবাসা, আবেগ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে, ভয় নয়।
সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে সাবলীল, সহজ মেলামেশা এবং নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অফিসের বাইরে রেখে আসতে হবে।
কোনও 'চলতা হ্যায়' মনোভাব থাকা উচিত নয়।
কর্মক্ষেত্রে বা কাজের বাইরেও যেন আমাদের হাবেভাবে পেশাদারিত্ব বজায় থাকে।
প্রতিটি কর্মচারীর কাজের পরিমাণই তাঁর চূড়ান্ত বিচার করবে, তিনি কতবার মুখ দেখাচ্ছেন, সেটা নয়।
গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে 'ভিন্ন ধারায় চিন্তা করার' চেষ্টা করতে হবে।
জেট এয়ারওয়েজ ডিজিটাল যুগের বিমান সংস্থা। 'আমাদের কাছে সেরা অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও আইটি সিস্টেম এবং পরিষেবা থাকবে। কিন্তু আমরা মানবিক স্পর্শ ত্যাগ করব না। সব ক্ষেত্রেই একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলার বিকল্প থাকবে। আমরা আমজনতা এবং গ্রাহকের সঙ্গে ব্যবসা করছি,' মনে করিয়ে দেন সঞ্জীব কাপুর।