অদ্ভুত নাকি ভয়ঙ্কর! রয়েছে কয়েক সেন্টিমিটার লম্বা ২০০ খানা পা। তানজানিয়ার দুর্গম জঙ্গলে এ কেমন প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এ প্রসঙ্গে, অস্ট্রেলিয়ার সানশাইন কোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়ার উদজুংওয়া পর্বতমালার দুর্গম জঙ্গলে একটি নতুন জেনাস এবং পাঁচটি নতুন প্রজাতির মিলিপিড খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ওই গভীর জঙ্গলে গাছ এবং লতাপাতা বৃদ্ধির অন্বেষণ করতে গিয়ে ইউএসসি প্রফেসর অ্যান্ডি মার্শাল আইকনিক স্টার ওয়ার্স সিরিজের চরিত্রগুলির সঙ্গে এই মিলিপিডের মাথার চেহারার মিলও পেয়েছেন।
ইউএসসি প্রফেসর উল্লেখ করেছেন যে সম্প্রতি জঙ্গলের ভেজা মাটির মাঝে তাঁর দল একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন, যার মাথাগুলি একেবারেই অন্যরকম। এছাড়াও প্রতিটি মিলিপিডের প্রায় ২০০টি কয়েক সেন্টিমিটার লম্বা পা ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, বৃহত্তম আফ্রিকান মিলিপিডগুলি ৩৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। মিঃ মার্শাল আরও বলেছিলেন যে, 'আমরা আমাদের ফিল্ড ওয়ার্কের সময় বন পুনরুদ্ধারের ট্র্যাক করার জন্য সমস্ত আকারের নমুনা রেকর্ড করে রাখি, এগুলি পরবর্তীতে আমাদের গবেষণায় ভালো ফল দিতে সাহায্য করে। কিন্তু যতদিন না মাইরিয়াপোডলজিস্টরা আমাদের নমুনাগুলি মূল্যায়ন করতে পারছেন, ততদিন পর্যন্ত আমরা এই প্রজাতির গুরুত্ব বুঝে উঠতে পারছি না।'
মিসৌরি ডিপার্টমেন্ট অফ কনজারভেশন অনুসারে, উত্তর আমেরিকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় প্রজাতির দৈর্ঘ্য এর প্রায় অর্ধেক, যা ১৫ সেন্টিমিটার বা ৬ ইঞ্চি। মিঃ মার্শালের মতে, নতুন মিলিপিড জেনাস এবং নতুন প্রজাতির আবিষ্কার দেখায় যে গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন সম্পর্কে আরও কত কিছু শেখার বাকি আছে।
ভারত মহাসাগরে নজর দিল্লির, মলদ্বীপের খুব কাছেই এবার ২টি নৌঘাঁটি তৈরি করবে নৌসেনা
সম্প্রতি ইউরোপীয় জার্নাল অফ ট্যাক্সোনমিতে 'এ মাউন্টেন অফ মিলিপিডস' শিরোনামে নতুন জেনাস এবং প্রজাতির আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সানশাইন কোস্ট ইউনিভার্সিটির তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গলে যে নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে উডজুংওয়াস্ট্রেপ্টাস। পাঁচটি নতুন প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে লোফোস্ট্রেপ্টাস ম্যাগম্বেরা, অ্যাটেমসোস্ট্রেপ্টাস ক্যাটারাক্টা, অ্যাটেমসোস্ট্রেপ্টাস লেপ্টোপ্টিলোস, অ্যাটেমসস্ট্রেপ্টাস জুলোস্ট্রিয়াটাস এবং উডজুংওয়াস্ট্রেপ্টাস মারিয়ানা। এই সমস্ত জীবের নমুনা ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরে আনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের উদ্যোগে এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী বন পুনরুদ্ধার করা।