রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ-সহ পাঁচ অভিযুক্তকেই খালাস দিয়েছে আদালত৷
এই রায় ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার৷ বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে এ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন৷ ভিকটিমদের ডাক্তারি রিপোর্টে কোনও সেক্সুয়াল ভায়োলেশনের বিবরণ নেই৷ ভিকটিমের পরীধেয়তে পাওয়া ডিএনএ নমুনা অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলল না৷ … ৩৮ দিন পর এসে তারা বলল রেপড হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার বিবেচনা করা উচিত ছিল ৷ তা না করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের পাবলিক টাইম নষ্ট করেছেন, পুলিশ যেন ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে কোনও ধর্ষণের মামলা না নেয়৷’
মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ৷ বাকি চারজন হলেন, সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলি ও গাড়িচালক বিল্লাল৷ রায়ের সময় পাঁচ অভিযুক্ত আাদালতে উপস্থিতি ছিলেন৷
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করে মামলা করা হয়৷ বনানী থানায় মামলাটি করেন ৬ মে এক তরুণী৷ মামলায় তরুণীর অভিয়োগ ছিল, অন্য তিনজনের সহায়তায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুকে রাতভর রেইনট্রি হোটেলে আটকে রেখে সাফাত ও নাইম তাঁদের ধর্ষণ করেন৷ এই মামলাটি নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজপথে মানববন্ধনের মত কর্মসূচিও পালন করে বিভিন্ন সংগঠন৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)