শিখ সম্প্রদায়ের কন্যাকে জোর করে বিয়ে করা ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার অশান্তির ছায়া উপত্যকায়। তবে এনিয়ে ইতিমধ্যেই অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। দিল্লি গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা ইতিমধ্যেই এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। একথা টুইট করে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কাশ্মীরের মাটিতেও প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে। তবে কাশ্মীরের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কড়া হাতে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য তাঁরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।
ন্যাশানাল কনফারেন্সের সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লা ও পিপলস ডেমক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহেবুবা মুফতি গোটা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন। আবদুল্লা জানিয়েছেন, ‘শিখ ও মুসলিমদের মধ্যে যেকোনও বিরোধ জম্মু-কাশ্মীরে অপূরণীয় ক্ষতি তৈরি করে দেবে। দুটি সম্প্রদায় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে চিরদিন। তবুও বার বার এই সম্পর্ককে ভাঙার চেষ্টা হয়েছে।কেউ আইন ভাঙলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিক।’
মেহেবুবা মুফতি জানিয়েছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ সময়তেও দুই সম্প্রদায় একসঙ্গে থেকেছে। তবে দুজন শিখ কন্যার ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন।’ প্রসঙ্গত শিখ সম্প্রদায়ের এক কন্যাকে অন্য সম্প্রদায়ভুক্ত এক ব্যক্তি অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। তবে ২৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীকে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। উত্তর শ্রীনগরের এসপি জানিয়েছেন, ‘অপহরণের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’