তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে নয় বরং ‘অন্য কিছু’ নিয়ে সংসদ উত্তাল করেছে কংগ্রেস। এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী (রাজনাথ সিং) এই বিষয়ে (তাওয়াং সংঘাত) বিবৃতি দেবেন বলে জানানোর পরেও কংগ্রেস দুর্ভাগ্যবশত প্রশ্নোত্তর পর্ব বন্ধ করে দেয়। আমি প্রশ্নোত্তর তালিকা দেখেছি। ৫ নম্বর প্রশ্ন দেখার পরেই আমি (কংগ্রেসের) উদ্বেগ বুঝতে পেরেছি। কংগ্রেসের এক সদস্য রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আমরা উত্তর প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তারা হট্টগোল করে বেরিয়ে গেলেন।’
উল্লেখ্য, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের এফআরসিএ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছিল শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। একটি কমিটির তদন্তের পরই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামে থাকা এই ফাউন্ডেশনের প্রধান কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজীবের স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ আজ পালটা বলেন, ‘যদি তারা অনুমতি দিত, আমি সংসদে উত্তর দিয়ে জানাতাম যে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ২০০৫-০৬ এবং ২০০৬-০৭ সালে চিনা দূতাবাস থেকে ১.৩৫ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল। সেটা এফআরসিএ অনুযায়ী উপযুক্ত ছিল না। তাই নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন বাতিল করেছে।’
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল চিন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, গত শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চিনা সেনা। সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনার কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই আবহে আজ সকালে তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে সরকারি বিবৃতি দাবি করে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন সাংসদ সৌগত রায়। কংগ্রেসের তরফে সাংসদ মণীশ তিওয়ারি মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন। এদিকে কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন রাজ্যসভায় ১৭৬ নং নিয়মের অধীনে স্বল্প সময়ের আলোচনার নোটিশ দেন এই একই ইস্যুতে। এছাড়া ২৭৬ নং নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যসভায় তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন আম আজমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, কংগ্রেসের শক্তি সিং গোহিল। এই আবহে সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে লোকসভায় বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করেন। এর জেরে বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়। এরপরই কংগ্রেসকে পালটা তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।