সীমান্তে মর্টার হামলার দায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার ওপর চাপিয়েছে মায়ানমার৷ একইসঙ্গে এই সংগঠনগুলোর ঘাঁটি বাংলাদেশে রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা৷ সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের খবর অনুযায়ী, সোমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে মর্টার হামলার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জাউ ফিউ উইন৷
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্তে মর্টার হামলার দায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা)-র ওপর চাপান উইন৷ একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ‘ঘাঁটি' থাকার অভিযোগ তুলে সেগুলোর তদন্ত ও অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানান তিনি৷
সোমবার রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেজে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়৷ সেখানে বলা হয়, ‘মহাপরিচালক বলেছেন, আরাকান আর্মি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ১৬ সেপ্টেম্বর বিপি-৩১ নম্বরের বর্ডার গার্ড পুলিশের তাউংপিও চৌকিতে মর্টার হামলায় চালায়, যার মধ্যে তিনটি মর্টার বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে পড়ে৷'
‘তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেন, আরাকান আর্মি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা পুনরায় একই অস্ত্র ব্যবহার করে এবং ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে বিপি-৩৪ নম্বরে বর্ডার গার্ড পুলিশের তাউংপি্উ চৌকি আক্রমণ করে, যেখানে নয়টি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের মাটিতে৷' বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মায়ানমারের এ ধরনের বক্তব্য ‘গতানুগতিক'৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)